SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২০২৫

আপনি যদি SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনাকে প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড বাছাই করতে হবে। আর্টিকেল হল এমনই একটি লেখার সমষ্টি যা পড়ে পাঠক প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে উপকৃত হতে পারে। 
SEO-ফ্রেন্ডলি-বাংলা-আর্টিকেল-লেখার-নিয়ম
আপনার আর্টিকেলের মধ্যে সঠিক তথ্য থাকতে হবে। সঠিক নিয়মে আর্টিকেল লিখে তা গুগলে কিভাবে র‍্যাঙ্ক করে ভিজিটর বাড়ানো যায় তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

সূচিপত্রঃ SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এর জন্য আপনাকে একটি প্রাসঙ্গিক টাইটেল নির্বাচন করতে হবে। টাইটেলটি এমন হওয়া লাগবে যেন পাঠক সেটি পড়তে আগ্রহী হয়। আর্টিকেলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে আপনাকে একটি ভূমিকা বাটন দিতে হবে। যেন পাঠকের মনোযোগ আকর্ষিত হয়। ভূমিকা বাটনের নিচে আপনি আর্টিকেল সম্পর্কিত মূল বিষয়বস্তুর বিবরণ তুলে ধরুন। আর্টিকেলের যে ভাষা ব্যবহার করবেন সেটা যেন সুন্দর এবং সহজসাধ্য হয়। 
SEO-ফ্রেন্ডলি-বাংলা-আর্টিকেল-লেখার-নিয়ম
আমরা যে ফোকাস কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করব সেটা যেন আর্টিকেলে ১০ বার ব্যবহার করা হয়। পোস্ট সূচীপত্র দেওয়া লাগবে যেন পাঠক সহজে বুঝতে পারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলে কি বিষয়ের উপর লেখা রয়েছে। সূচিপত্র এমনভাবে এসইও করতে হবে যেন পাঠক যে কোন অংশ থেকে পড়তে পারে। আর্টিকেলে লেখা নরমাল সাইজে লিখতে হবে। পোষ্টের সমস্ত শব্দ জাস্টিফাই করে নিতে হবে। 

পোস্টে ইমেজ ব্যবহার করার সময় অবশ্যই আপলোড ফরম কম্পিউটার থেকে করতে হবে। By url করে ছবি যুক্ত করা যাবে না। ছবির দৈর্ঘ্য ১১০০ এবং প্রস্থ ৬১৯ রাখতে হবে। আরো পুরন সেকশনে অন্যান্য ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করার সময় অবশ্যই নো ফলো করে রাখতে হবে। নিজের ওয়েবসাইটের লিংক এর জন্য ডুফলো ব্যবহার করতে হবে। 


আপনি যে বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখছেন সে বিষয়ের উপর একটি লেবেল দেওয়া লাগবে। আর্টিকেল ইউ আরএল এর সঙ্গে আপনাকে পার্মালিঙ্ক যুক্ত করতে হবে। পার্মালিঙ্ক আর্টিকেল এসইও এর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পার্মালিঙ্ক সব সময় এক শব্দের দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যদি কখনো পার্মালিঙ্ক একের অধিক শব্দের দিতে হয় তাহলে অবশ্যই হাইফেন (-) ব্যবহার করবেন। 

এছাড়াও আপনি যখন আর্টিকেল লিখবেন অবশ্যই আপনার লেখাগুলো ইউনিক এবং কপিরাইট মুক্ত হতে হবে। অন্যের কপি করা কোন কিছুই পোষ্টের মধ্যে দেওয়া যাবে না। এভাবে আর্টিকেল লিখলে আপনার এসইও স্কোর ভালো থাকবে। আর্টিকেল সম্পর্কে আমাদের এই পোস্টে আরো বিস্তারিত আলোচনা থাকবে তাই আমাদের সঙ্গেই থাকুন। 

টপিক ও কিওয়ার্ড রিসার্চ করার নিয়ম 

টপিক ও কিওয়ার্ড রিসার্চ হলো আর্টিকেল লেখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আপনি যে বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখবেন সে বিষয়ের টপিক বের করা। আপনার টপিক অনুযায়ী এমন একটি কীওয়ার্ড রিসার্চ করা যেগুলো গুগলে মানুষ সার্চ দিয়ে থাকে। আর্টিকেলের টপিক হচ্ছে কোন নির্দিষ্ট একটি মাধ্যম। আপনি যে বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখবেন সেটাই হলো আপনার আর্টিকেলের টপিক। যেমন, স্বাস্থ্য, অনলাইন ইনকাম, খেলাধুলা, শিক্ষা, আর্টিকেল রাইটিং, চিকিৎসা, তথ্য ও প্রযুক্তি ইত্যাদি। 

কিওয়ার্ড এমন ভাবে নিতে হবে যেন এটি লং টেল কিওয়ার্ড হয়। কিওয়ার্ড ৫ থেকে ৮ শব্দের মধ্যে হতে হবে। এভাবে আপনাকে একটি ভালো মানের ফোকাস কিওয়ার্ড বাছাই করতে হবে। ফোকাস কিওয়ার্ডটি আপনার আর্টিকেলে ১০ বার ব্যবহার করতে হবে। এটি হবে মেন ফোকাস কিওয়ার্ড। এছাড়াও আপনি মেন ফোকাস কিওয়ার্ড কে মডিফাই করে সম্পূর্ণ পোস্টে ৪ থেকে ৫ বার ব্যবহার করবেন। 

রিলেটেড ফোকাস কিওয়ার্ড পোষ্টের মধ্যে ৩-৪ বার ব্যবহার করবেন। আপনি যখন কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে এর সার্চ ভলিউম দেখতে হবে। যেগুলো সার্চ ভলিউম কম সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। যে কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করবেন সেটি যেন অন পেজে কোন সংবাদ পত্রিকা বা অন্য কোন বড় ওয়েবসাইটের পেজ না থাকে। 
SEO-ফ্রেন্ডলি-বাংলা-আর্টিকেল-লেখার-নিয়ম
উপরের স্ক্রিনশট থেকে আপনি সহজে বুঝতে পারছেন কিভাবে কিওয়ার্ড নিতে হবে। আপনি যখন একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড বাছায় করবেন তখন সেখানে মাউসের কার্সনটা রাখলে নিচে আরও অনেকগুলো কিওয়ার্ড আসবে। সেখান থেকে আপনি কীওয়ার্ড মডিফাই করে নিতে পারেন। এতে করে আপনার আর্টিকেলের রেঙ্ক ও ভিউ বাড়বে। 

ভূমিকা ও সূচিপত্র তৈরীর উপায় 

আপনাকে SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম অনুযায়ী প্রথমেই একটি সুন্দর প্রাসঙ্গিক ভূমিকা দিতে হবে। ভূমিকাটি এমন হতে হবে যেন পাঠক আপনার সম্পূর্ণ ব্লগটি পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে। ভূমিকাতে আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সংক্ষেপে তুলে ধরতে হবে। ভূমিকার নিচে সূচিপত্র দিতে হবে এই সূচিপত্র দেখে যেন পাঠক বুঝতে পারে আপনার আর্টিকেলে সম্পূর্ণ কি বিষয়ের উপর বিস্তারিত তথ্য দেওয়া রয়েছে। 

আপনার আর্টিকেলের ওপর আকর্ষণ রাখার জন্যই ভূমিকা এবং সূচিপত্রের গুরুত্ব অনেক। আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সে বিষয়ের উপর প্রাসঙ্গিক একটি ভূমিকা বাটন শুরুতেই দিতে হবে। এরপর সংক্ষেপে আপনি একটি ভূমিকা লিখবেন। যেন পাঠক এই ভূমিকার ওপর ভিত্তি করেই সম্পূর্ণ ব্লগটি পড়ার প্রতি আকর্ষণ জন্মায়। 

সূচিপত্রে অবশ্যই আপনাকে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। সূচিপত্রের হেডিংগুলো এমন ভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন পাঠ হোক যেখান থেকে পড়তে চাই সেখান থেকে পড়তে পারে। সেজন্য সূচিপত্রে অবশ্যই আপনাকে প্রতিটি হেডিংকে লিংক করে রাখতে হবে। যেমন প্রথম সুচির জন্য #1, দ্বিতীয় সূচির জন্য #2 এভাবে চলতে থাকবে। এরপর হেডিংয়ে প্রথম সুচির #1 এর জন্য id="01" ব্যবহার করতে হবে। 

এভাবে দ্বিতীয় হেডিং এর জন্য id="02" ব্যবহার করতে হবে। আপনার যতগুলো সূচিপত্র থাকবে ততগুলো  id নম্বর দিতে হবে। যে কোন লিংক ব্যবহার করার আগে লেখাগুলোকে অবশ্যই জাস্টিফাই করে নিতে হবে। এভাবে আপনি সম্পূর্ণরূপে একটি সূচিপত্র বানাতে পারবেন যেটা SEO এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

আর্টিকেলের বডি লেখার নিয়ম 

SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেলের জন্য আপনাকে অবশ্যই আর্টিকেলের বডি লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। একজন পাঠক যখন আর্টিকেলটি পরে তখন সে মূলত  বডির অংশ পড়ে। ভূমিকা এবং সূচিপত্রের পরেই আপনার আর্টিকেলের বডি শুরু হয়। বডির লেখাগুলো এমন হতে হবে যেন প্রতিটি লেখার সাইজ এলোমেলো না হয়। প্রতিটি লাইনের মাঝে এর গ্যাপের সংখ্যা যেন কমবেশি না হয়। লেখাগুলো সব সময় জাস্টিফাই করে রাখতে হবে। বডির মধ্যে যে লেখাগুলো থাকবে সেগুলো যেন সঠিক তথ্য সম্মিলিত লেখা হয়। বডি লেখার সময় অবশ্যই যে বিষয়গুলো মনে রাখবেন তা হলো
  • আর্টিকেলের মূল অংশ 
  • আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য 
  • আর্টিকেলের ভাষা 
  • আর্টিকেলের বানান ও বিরাম চিহ্ন 
  • আর্টিকেলের ছবি 
  • আর্টিকেলের তথ্যসূত্র 
  • লেখকের মন্তব্য 
আপনি যখন আর্টিকেলের বডি লিখবেন তখন অবশ্যই আপনাকে যে বিষয়ের উপর হেডিং থাকবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে। এ বিস্তারিত আলোচনা কত বড় হবে এবং কিভাবে সাজাতে হবে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। আলোচনাটি কত প্যারায় রাখতে হবে প্রতিটি প্যারা দৈর্ঘ্য কত হবে তা জানতে হবে। আপনি যে ভাষাতে আর্টিকেল লিখছেন তা যেন সঠিক ও সুন্দর হয়। 


মানুষের বুঝতে যেন কঠিন না হয় এমন ভাষাতে আর্টিকেল লিখতে হবে। আর্টিকেল লিখার সময় এর বানান এবং কোথায় কোন চিহ্ন ব্যবহার করা হবে তা জানতে হবে। আপনাকে কপিরাইট ফ্রি ইমেজ ব্যবহার করতে হবে। আর্টিকেলের ছবি ব্যবহার করার সময় প্রথমত ছবিটি এসইও করে নিতে হবে। আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে ছবিটি এসইও করতে হবে। 

আর্টিকেলের ছবি পেস্ট করার পূর্বে ছবির সাইজ ১১০০×৬১৯ করে নিতে হবে। এরপর আর্টিকেলের তথ্যগুলো যেন যুক্তিসম্মত ও সঠিক হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। প্রতিটি প্যারা যেন ৩.৫-৫ লাইনের মধ্যে হয়। আর্টিকেলের উপর আপনার নিজের একটি মন্তব্য লিখবেন যেন পাঠক আপনার প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারে। 

আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করার নিয়ম 

আপনি যখন নিয়মিত ব্লগ পোস্ট লিখবেন এবং আপনার পাঠক নিয়মিত আপনার ব্লগ পোস্টগুলো পড়বে। তখন আপনি পাঠকদের আপনার ব্লগ সাইটে ধরে রাখার জন্য প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করে পোস্ট লিখে আরো পড়ুন সেকশনে লিংক করে রাখতে পারেন। এতে করে আপনার পাঠক যখন আপনার কোন পোস্ট পড়বে তখন সে জানতে পারবে এ বিষয়ে আরো অন্য কোন পোস্ট আপনার সাইটে রয়েছে কিনা। 

পাঠক বিস্তারিত জানার জন্য আরো পরম সেকশনের বিভিন্ন লিঙ্ক থেকে অন্যান্য পোস্ট পড়তে পারবে। এভাবে একজন পাঠক আপনার সাইটে একটি পোস্ট পড়তে এসে বিভিন্ন পোস্টে সময় দেবে। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে কেউ বৃদ্ধি পাবে এবং ইনকাম হবে। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন আরো পড়ুন সেকশনটি কোন নির্দিষ্ট হেডিং এর দুইটি প্যারাগ্রাফের মধ্যে রাখতে হবে যেন পাঠকের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। ভালো মানের SEO এর জন্য একটি পোস্টে সর্বমোট তিনটি আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করতে হবে। 

ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহারের নিয়ম 

আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ফোকাস কিওয়ার্ড। আপনি যখন এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন তখন অবশ্যই আপনাকে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহারের নিয়ম জানতে হবে। ফোকাস কিওয়ার্ড কোথায় এবং কতবার ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। এটি ওয়েবসাইট রেঙ্ক করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুরো আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনাকে ফোকাস কিওয়ার্ড সর্বমোট ১০ বার ব্যবহার করতে হবে। ফোকাস কীওয়ার্ড শুরু হবে টাইটেল দিয়ে। 

ভূমিকা লিখার শুরুতে ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে লিখতে হবে। সূচিপত্রের প্রথম সূচি ফোকাস কিওয়ার্ড হতে হবে। প্রথম হেডিং এর প্রথম লাইন ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে শুরু করতে হবে। মন্তব্যের প্রথম প্যারার শুরুতে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। আর্টিকেলের জন্য যে ছবিটি আপনি ব্যবহার করবেন সেই ছবিটি অবশ্যই ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে এসইও করে নিতে হবে। এভাবে আপনি ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার সাইটের ব্লগ পোষ্টটি রেঙ্ক করাতে পারবেন। 

আর্টিকেলে ইমেজ ব্যবহারের নিয়ম 

আপনি যে বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখবেন সে বিষয়ের ওপর একটি ফিচার ইমেজ তৈরি করতে হবে। ফিচার ইমেজ তৈরীর জন্য আপনাকে ভালো মানের একটি promt তৈরি করতে হবে। আপনি চ্যাট জিপিটি দিয়ে promt তৈরি করে নিতে পারেন। এরপর আপনি leonardo.ai দিয়ে একটি ইমেজ তৈরি করতে পারেন। অবশ্যই আপনার promt তৈরি করার উপর নির্ভর করবে আপনার ছবির কোয়ালিটি কেমন হবে। 
SEO-ফ্রেন্ডলি-বাংলা-আর্টিকেল-লেখার-নিয়ম
ছবিটি leonardo.ai থেকে ডাউনলোড করার পর এটি ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে rename করতে হবে। ফোকাস কিওয়ার্ডের মধ্যে কোন গ্যাপ তা কেটে হাইফেন (-) ব্যবহার করতে হবে। এরপর আপনি photopea তে ছবিটি এডিটিং করতে হবে। ছবির মধ্যে কোন কিছু লিখার প্রয়োজন হলে লিখে নিবেন। আপনি যদি ছবিতে আপনার লোগো ব্যবহার করতে চান তবে নতুন একটি লেয়ার নিয়ে লোগোটি দিয়ে দিবেন। ব্যাকগ্রাউন্ড এর কালার আপনার ওয়েবসাইটের কালার এর সঙ্গে মিল রাখতে হবে। 


ছবিটি সেভ করার সময় webp ফরমেটে রাখতে হবে। সেভ করার সময় চেক করে নেবেন যেন ছবিটি ৫০ kb  এর নিচে থাকে। অতঃপর ডাউনলোডকৃত ছবিটি আপনার ব্লগ সাইটে যেখানে সেট করবেন সেখানে মাউসের ক্লিক করে insert image অপশনে যেতে হবে। 

এরপর upload from computer অপশনে গিয়ে ব্রাউজার থেকে আপনি যেখানে ইমেজটি রেখেছেন সেখান থেকে আপলোড করতে হবে। এবার এডিট ইমেজে যেয়ে কপি করা ফোকাস কিওয়ার্ড টি alt এবং title এ পেস্ট করতে হবে। ছবির সাইজ অরজিনাল রেখে ছবিটি আপডেট দিতে হবে। এভাবে সঠিক নিয়মে আর্টিকেলে ইমেজ ব্যবহার করতে হবে। 

লাইন গ্যাপ বা এন্টার দেওয়ার নিয়ম 

আর্টিকেল লেখার সময় আর্টিকেলের মধ্যে লাইনের তারতম্য যেন না থাকে সে বিষয়ে লক্ষ্য করতে হবে। অনেকে আর্টিকেল লেখার সময় স্পেস এবং ইন্টার দেওয়ার নিয়ম জানেনা। সেজন্য লিখার মধ্যে অনেক সময় অনেক গ্যাপ থেকে যাই। যেটার কারণে আর্টিকেল লেখা দেখতে ভালো লাগেনা। আর্টিকেলের মধ্যে গ্যাপ আর্টিকেল এসইও করার জন্য অনেক বড় বাঁধার সৃষ্টি করে। 

দুইটি লাইনের মাঝে একের অধিক ইন্টার দিলে বা শব্দের মাঝে একের অধিক স্পেস দিলে তা দেখতে খারাপ লাগে। এটি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মের জন্য বেমানান। সেজন্য অবশ্যই আর্টিকেল লেখার সময় ১ স্পেস এবং এক ইন্টার দিতে হবে। এতে করে আপনার আর্টিকেল বডির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। এভাবে আর্টিকেল লিখলে ব্লগ পোস্ট দেখতে ভালো লাগবে।

আর্টিকেল লেখা ও পাবলিশ করার সময় 

আপনি যখন আর্টিকেল লিখবেন তখন সম্পূর্ণ সুন্দর ও নিরিবিলি পরিবেশে লেখা উত্তম। কারণ আপনার আর্টিকেল লেখার প্রফেশনাল ভাব বজায় রাখার জন্য আপনার ভাবনা চিন্তা সুন্দরভাবে করা লাগবে। সুন্দরভাবে আর্টিকেল লেখার জন্য যেমন সুন্দর পরিবেশের প্রয়োজন তেমনি আপনার ভাবনা চিন্তা সুদৃঢ় করার জন্য আপনার মনকে প্রফুল্ল করার প্রয়োজন। আবার যেকোনো সময় আর্টিকেল পাবলিশ করা করতে হয় না। নিচে পোস্ট লেখা এবং পোস্ট পাবলিস্ট করার উত্তম সময় দেওয়া হল। 
  • বাংলা আর্টিকেল লেখার উত্তম সময় হলো ভোর ৪:৩০ থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত। 
  • এছাড়াও আপনি শান্ত ও মনোরম পরিবেশে আর্টিকেল লিখতে পারেন। 
  • আর্টিকেল পাবলিস করার সময় সকাল ১০টা থেকে ১১:৩০টা পর্যন্ত। 
  • বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৪:৩০টা পর্যন্ত। 
  • রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। 

মন্তব্যঃ SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম 

SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বিস্তারিত ধারণা পেয়েছি। সঠিক নিয়ম ও কৌশল জানা থাকলে বাংলা আর্টিকেল লিখে আপনি অবশ্যই সফল হবেন। আপনার ধ্যান-ধারণা ও জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে যে পোস্টটি লিখেছেন তা যদি পাঠকের মনকে আকর্ষণ করতে পারেন তবে আপনি একজন সফল আর্টিকেল রাইটার। এছাড়াও আপনার চিন্তাভাবনার প্রফুল্যতা বজায় রাখার জন্য আপনাকে নিয়মিত সঠিক নিয়ম মেনে আর্টিকেল লিখতে হবে। 

আপনার আর্টিকেল এসইও এর বিষয় দক্ষতা এবং পরিশ্রম আপনাকে উন্নত শিখরে পৌঁছে দেবে। এতে করে আপনি সফলতা পাবেন। আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশেষে শেয়ার করবেন। আর্টিকেল সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Neha IT নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url