কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম

কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম এর জন্য আপনাকে বিদ্যুৎ পরিমাপক এবং বিদ্যুৎ মিটারের বর্তমান ও পূর্বের রিডিং সম্পর্কে জানতে হবে। তবেই আপনি কি পরিমাপ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন এবং কি পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছেন তা জানতে পারবেন।
কারেন্ট-বিল-বের-করার-নিয়ম
আপনি খুব সহজেই বিদ্যুৎ বিল তৈরি করতে ও বুঝতে পারবেন যদি আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন। চলুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্র ঃ কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম 

কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম 

কারেন্ট বিল বের করার নিয়মটি অনেক সহজ। আপনি যদি বিদ্যুৎ বিলের হিসাব নিজে নিজে করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিদ্যুৎ বিলের কয়েকটি ধাপ সম্পর্কে জানতে হবে। প্রথমত আপনাকে বৈদ্যুতিক মিটারের বর্তমান ও পূর্বের রিডিং সম্পর্কে জানতে হবে। আপনাকে বিদ্যুতের দাম জানতে হবে। বাংলাদেশের বিদ্যুতের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সে অনুযায়ী ২০২৫ সালের নেসকো কর্তৃক খুচরা বিদ্যুৎ মূল্যহার নিচে দেওয়া হল।
  • গ্রাহক শ্রেণী = এলটি-এ আবাসিক লাইফ লাইন ০-৫০ ইউনিট = ৪.৬৩ টাকা 
  • প্রথম ধাপ ০-৭৫ ইউনিট = ৫.২৬ টাকা
  • দ্বিতীয় ধাপ ৭৬-২০০ ইউনিট = ৭.২০ টাকা
  • তৃতীয় ধাপ ২০১-৩০০ ইউনিট = ৭.৫৯ টাকা 
  • চতুর্থ ধাপ ৩০১-৪০০ ইউনিট = ৮.০২ টাকা 
  • পঞ্চম ধাপ ৪০১-৬০০ ইউনিট = ১২.৬৯ টাকা
  • ষষ্ঠ ধাপ ৬০০ ইউনিটের উর্ধ্বে = ১৪.৬১ টাকা
ধরুন আপনি পাশাপাশি তিনটি বাড়িতে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব করবেন। প্রথম বাড়ি ২৫০ ইউনিট ও দ্বিতীয় বাড়ি ৩৫০ ইউনিট এবং তৃতীয় বাড়ি ৬১০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছে। এখন বিল বের করার জন্য আপনাকে বিদ্যুতের সঠিক মূল্য এবং অতিরিক্ত যে সকল চার্জ যেমন মিটার ভাড়া ডিমান্ড চার্জ ভ্যাট এগুলো জানতে হবে। তাহলে আপনি সঠিক বিল প্রস্তুত করতে পারবেন।
মনে করুন সব মিলিয়ে ১৫% ভ্যাট যুক্ত করা হয়েছে। তাহলে ২৫০ ইউনিট হিসাব হবে প্রথম ৭৫ ইউনিট *৫.২৬ = ৩৯৪.৫ টাকা। পরের ১২৫ ইউনিট (৭৬-২০০) *৭.২০ = ৯০০ টাকা। পরের ৫০ ইউনিট (২০১-২৫০) *৭.৫৯ = ৩৭৯.৫ টাকা। মোট = ৩৯৪.৫+৯০০+৩৭৯.৫ = ১৬৭৪ টাকা। ১৫% ভ্যাট যুক্ত করায় ১৬৭৪* ১৫% = ২৫১ টাকা। সবমিলিয়ে মোট বিদ্যুৎ বিল হবে ১৬৭৪ + ২৫১ = ১৯২৫ টাকা।

দ্বিতীয় বাড়ির ৩৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিলের হিসাব। এখানে প্রথম ৭৫ ইউনিট *৫.২৬ = ৩৯৪.৫ টাকা। পরের ১২৫ ইউনিট (৭৬-২০০) *৭.২০ = ৯০০ টাকা। পরের ১০০ ইউনিট (২০১-৩০০) *৭.৫৯ = ৭৫৯ টাকা। পরের ৫০ ইউনিট (৩০১-৩৫০) *৮.০২ = ৪০১ টাকা। মোট = ৩৯৪.৫+৯০০+৭৫৯+৪০১ = ২৪৫৪.৫ টাকা। ১৫% ভ্যাট যুক্ত করায় ২৪৫৪.৫* ১৫% = ৩৬৮.১৭ টাকা। সবমিলিয়ে বিদ্যুৎ বিল হবে ২৪৫৪.৫+৩৬৮.১৭ = ২৮২২.৬ টাকা। 

তৃতীয় বাড়ির ৬১০ ইউনিট কারেন্ট বিলের হিসাব। প্রথম ৭৫ ইউনিট *৫.২৬ = ৩৯৪.৫ টাকা। পরের ১২৫ ইউনিট (৭৬-২০০) *৭.২০ = ৯০০ টাকা। পরের ১০০ ইউনিট (২০১-৩০০) *৭.৫৯ = ৭৫৯ টাকা। পরের ১০০ ইউনিট (৩০১-৪০০) *৮.০২ = ৮০২ টাকা। পরের ২০০ ইউনিট (৪০১-৬০০) *১২.৬৯ = ২৫৩৮ টাকা। পরের ১০ ইউনিট (৬০০+)*১৪.৬১=৭৫৯ টাকা। মোট = ৩৯৪.৫+৯০০+৭৫৯+৮০২+২৫৩৮+৭৫৯ = ৫৫৩৯.৬ টাকা। ১৫% ভ্যাট ৫৫৩৯.৬* ১৫% = ৮৩০.৯৪ টাকা। বিদ্যুৎ বিল হবে ৫৫৩৯.৬+৮৩০.৯৪ = ৬৩৭০.৫৪ টাকা।

বাসা বাড়িতে যে ধরনের লোড ব্যবহার করি

বাসা বাড়িতে আমরা ২২০ ভোল্টের সিঙ্গেল ফেজ লাইন ব্যবহার করে থাকি। কেননা আমাদের বাড়ির সকল লোডই সিঙ্গেল ফেজ হয়ে থাকে। বাসা বাড়িতে আমরা লোডগুলো ওয়াট দিয়ে হিসাব করি। ওয়াট হলো ক্ষমতার একক। কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্র এক জুল শক্তি ব্যয় করতে যদি এক সেকেন্ড সময় নেয় তাহলে ওই যন্ত্রের ক্ষমতাকে এক ওয়াট বলে। বাড়িতে যে সকল লোড ব্যবহার করি তা হলো বাল্ব/লাইট সাধারণত ১০ থেকে ১০০ ওয়াট ব্যবহার করি।

ফ্যানের জন্য আমরা সাধারণত ৫০ থেকে ১০০ ওয়াট ব্যবহার করি। ল্যাপটপ এবং ডেক্সটপ এর জন্য ৩০ থেকে ৬০ ওয়াট ব্যবহার করি টেলিভিশনের জন্য ২৫ থেকে ১২০ ওয়াট ফ্রিজের জন্য ৮০ থেকে ২৫০ ওয়াট এসি চালানোর জন্য ১০০০ থেকে ৩০০০ ওয়াট ব্যবহার করি রান্না করার জন্য রাইস কুকার কারি কুকার ব্যবহার করে থাকি ২ থেকে ৫ হর্স পাওয়ার পর্যন্ত পানির পাম্প বা পানির মোটর ব্যবহার করি ১০০ থেকে ৫০০ ওয়াটের আয়রন ব্যবহার করি। 

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স লোড রয়েছে। যেমন মোবাইল, ফ্যান, চার্জার লাইট, ল্যাপটপ ইত্যাদি। প্রত্যেক বাসা বাড়িতেই এই দুই ধরনের লোড বিদ্যমান।আমরা বিভিন্ন লোডের ওয়াট সম্পর্কে ধারণা নিয়ে বিদ্যুতের সঠিক ব্যবহার করতে পারব। এতে বিদ্যুতের ব্যয় অনেকাংশে কমে আসবে। প্রত্যেক বাসা বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের লোড ব্যবহার করা হয়। এ কারণেই প্রতিটি বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে। লোডের ওপর নির্ভর করে আপনার বিদ্যুৎ ইউনিট খরচ হয়।

বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব

বাসা বাড়িতে প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড এই দুই ধরনের মিটার ব্যবহার করা হয়। প্রিপেইড মিটারে গ্রাহক পূর্বেই টাকা উত্তোলন করে থাকে। গ্রাহক প্রতিমাসে যে পরিমাণ ইউনিট খরচ করবে তা পূর্বে থেকেই প্রিপেইড মিটারে দিয়ে থাকে। প্রিপেইড মিটার টাকা শেষ হওয়া মাত্রই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বেশিরভাগ মানুষ পোস্টপেইড মিটার ব্যবহার করে থাকে। পোস্টপেইড যে পরিমাণ বৈদ্যুতিক ইউনিট খরচ করবে তা প্রতি মাসের শেষে গ্রাহকের নিকট সম্পূর্ণ সাজানো একটি বৈদ্যুতিক বিল পৌঁছে যাই।
কারেন্ট-বিল-বের-করার-নিয়ম
এখানে গ্রাহক পরিমাণ বৈদ্যুতিক ইউনিট খরচ করলো গ্রাহকের নিকট থেকে কি কি চার্জ নেওয়া হল সব উল্লেখ থাকে। আমরা আজ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একজন গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। বাসা বাড়িতে কয়টি লাইট ফ্যান টিভি ফ্রিজ এসি ইত্যাদি ইলেকট্রিক ডিভাইস চলে তার ওপর নির্ভর করে বৈদ্যুতিক ইউনিট খরচ হয়। মনে করুন গ্রাহকের বর্তমান বৈদ্যুতিক ইউনিটের রিডিং ১০১১০ কিলোওয়াট ঘন্টা এবং পূর্ববর্তী রিডিং ছিল ৯৯৮০ কিলোওয়াট ঘন্টা।

এখানে গ্রাহকের ব্যবহৃত ইউনিট ১৩০ কিলোওয়াট ঘন্টা।তাহলে বর্তমান বিদ্যুতের দাম অনুযায়ী গ্রাহকের কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম হল প্রথম ৭৫ ইউনিট *৫.২৬ = ৩৯৪.৫ টাকা। পরের ৫৫ ইউনিট (৭৬-২০০) *৭.২০ = ৩৯৬ টাকা। মোট = ৩৯৪.৫+৩৯৬ = ৭৯০ টাকা। ডিমান্ড চার্জ ৪২ টাকা ভ্যাট ৪২ টাকা প্রদেয়। সবমিলিয়ে বিদ্যুৎ বিল হবে ৭৯০+৪২+৪২ = ৮৭৫ টাকা।

কোন কারণে যদি সঠিক সময়ে বিল পরিশোধ করা না হয় তাহলে প্রদয় ভ্যাট যোগ করা লাগবে। প্রদেয় সর্বমোট ভ্যাট ৪২ টাকা। বৈদ্যুতিক ইউনিট বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার বিলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যেমন ০-৭৫ ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ৫.২৬ টাকা ৭৬-২০০ ইউনিটের জন্য ৭.২০ টাকা। আবার ২০১-৩০০ ইউনিটের জন্য ৭.৫৯ টাকা এভাবে বৃদ্ধি পাবে।এই বিলটা পোস্টপেইড মিটারের জন্য। এখন আসি মিটার বিল নিয়ে।

অনেকে মনে করতে পারে প্রিপেইড মিটারের কোন ডিমান্ড চার্জ ভ্যাট যোগ করা হয় না। আপনি যদি প্রিপেইড মিটারে ১০০০ টাকার ডিপোজিট করেন তাহলে সবাই মনে করে ১০০০ টাকার বৈদ্যুতিক ইউনিট ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু বাস্তবে প্রিপেইড মিটারে আপনি মিটারে টাকা উত্তোলন করার সঙ্গে সঙ্গেই ডিমান্ড চার্জ ভ্যাট কেটে নেবে। আপনি ১০০০ টাকা ডিপোজিট করলে মনে করুন ২০০ টাকা ভ্যাট বাবদ কেটে নিয়েছে তাহলে আপনি ৮০০ টাকার বিদ্যুৎ খরচ করতে পারবেন।

অফিসে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব

বিদ্যুৎ বিলের হিসাব নির্ভর করে বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি মূল্য এবং ব্যবহৃত বিদ্যুতের পরিমাণের ওপর। বাসা বাড়ি এবং অফিসের জন্য বিদ্যুতের বিলের হিসাব আলাদা আলাদা হবে। অফিসে অনেক লাইট ফ্যান ব্যবহৃত হয়। অনেক অফিস রয়েছে যেখানে এসি থাকে। এছারাও বিভিন্ন অফিসে প্রিন্টার মেসিন থাকে, যার কারনে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে। অফিসের জন্য বিদ্যুৎ বিলের একটি বাস্তব উদাহরণ নিচে দেওয়া হল
 
উদাহরণ: একটি অফিসে ৫০ ওয়াটের ৪০ টি লাইট প্রতিদিন ৮ ঘন্টা, ৬০ ওয়াটের ২০ টি পাখা প্রতিদিন ৮ ঘন্টা, ৫০ ওয়াটের ৩ টি টেলিভিশন প্রতিদিন 2 ঘন্টা করে চলে, একটি পানির পাম্প দৈনিক ২ ঘন্টা চলে এবং লাইন ভোল্টেজ ২২০ ভোল্ট হলে ওই অফিসের মাসিক বিল কত? আমরা নিচের সমাধানের মাধমে জানতে পারবো।
সমাধান: ৫০ ওয়াট লাইটের জন্য W1=50*40*8=16000 watt, ৬০ ওয়াট পাখার জন্য W2=60*20*8=9600 watt, ৫০ ওয়াট টেলিভিশনের জন্য W3=50*3*6=900 watt, ১/৮ HP মোটরের জন্য W4=(1/8)*746*2=186.5 watt, তাহলে একদিনে মোট এনার্জি খরচ =W1+W2+W3+W4=16000+9600+900+186.5 watt =26686.5 watt = (26686.5÷1000) kw = 26.686 kw(ইউনিট)।

বর্তমান বিদ্যুতের দাম যদি অফিসের জন্য ১৩ টাকা ধরা হয় তাহলে এক ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৩ টাকা। একদিনে খরচ হয় ২৬.৬৮৬ ইউনিট তাহলে ২৬.৬৮৬ ইউনিট বিদ্যুতের দাম ২৬.৬৮৬*১৩=৩৪৬.৯ টাকা। তাহলে ৩০ দিনে বিদ্যুৎ বিল আসবে ২৬.৬৮৬*৩০=৮০০.৫ ইউনিট বা ১০৪০৭.৫ টাকা। এভাবে সুন্দর করে আপনি বিল প্রস্তুত করতে পারবেন।

বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার কারণ

যথাযথ নিয়ম কানুন না জানার কারণে বা বিদ্যুতের ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসে। বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেলে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে। অনেক সময় বৈদ্যুতিক লাইনে সমস্যা থাকার কারণে ও বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে। বিদ্যুতের এমন সরঞ্জাম যেগুলো অধিকতর পুরাতন মানে সস্তা এগুলো ব্যবহার করলে বিদ্যুতের খরচ বাড়ে। গরম কালে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। অনেক সময় বৈদ্যুতিক পাখা সারাদিন চালানোর কারণেও বিদ্যুতের খরচ বাড়ে।

গরমকালে এসির ব্যবহার বাড়ে যার ফলে বিদ্যুতের খরচ বেশি হয়। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বৈদ্যুতিক মোটর বা পাম্প ব্যবহার করলে বিদ্যুতের খরচ বাড়ে। অনেকেরই বৈদ্যুতিক ডিভাইস সম্পর্কে ধারণা থাকে না যার ফলে বেশি ওয়াটের বৈদ্যুতিক বাল্ব বা ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করে যার কারণে ইউনিট খরচ বেশি হয়। 

বাসা বাড়িতে প্রাকৃতিক চুলায় খরকুটো ব্যবহার করে রান্না করার বদলে অনেকেই ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করে যার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে ফলে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়। বেশি বেশি পরিমাণ আয়রন ব্যবহার করলেও বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে। শীতকালে হিটিং সিস্টেম ব্যবহার করার ফলে বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে। মিটারে ত্রুটির কারণেও বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে। মিটারে যদি সঠিক রিডিং না দেয় তাহলে সঠিক বিদ্যুতের হিসাব পাওয়া যায় না যার ফলে ইউনিট বেশি আসে।

বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ী করার উপায়

বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ী করার জন্য অবশ্যই আপনাকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুতের লাইনগুলো সঠিকভাবে স্থাপন করতে হবে এবং বিদ্যুৎ সুপরিবাহী হতে হবে। বিদ্যুতের মিটার সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে এবং মিটার সঠিক রিডিং দিচ্ছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী লাইট ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই বৈদ্যুতিক লাইটের জন্য অধিকতর সহজলভ্য বেশি ওয়াটের বাল্ব/লাইট কিনে থাকে।

বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে সাশ্রয়ী বাতি (CFL,LED,T5 টিউব লাইট) ব্যবহার করতে হবে। এতে করে বিদ্যুতের অপচয় রোধ হবে এবং খরচ কম হবে। রান্না করার জন্য প্রাকৃতিক চুলা খড়কুটো লাকড়ি দিয়ে রান্না করতে হবে ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করা যাবে না। বেশি ওয়াটের ইলেকট্রিক কোন ডিভাইস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। গরমের দিনে এসি চালার সময় অফিসে দরজা জানলা বন্ধ করে চালাবেন।

এতে করে টেম্পারেচার ঠিক থাকবে এবং বারবার এসি চালানোর প্রয়োজন পড়বে না। এসি চালানোর সময় অবশ্যই টেম্পারেচার স্বাভাবিক রাখবেন লো টেম্পারেচারে এসি চালালে বা বারবার এসে অন করলে বিদ্যুতের খরচ বেড়ে যায়। তাই চেষ্টা করবেন টেম্পারেচার ২৫ ডিগ্রি বা তার ওপরে রাখার। তবে সবচেয়ে ভালো হবে প্রকৃতির বাতাস গ্রহণ করা এতে করে বিদ্যুতের খরচ অনেক কমে যাবে।

বাড়ির আশেপাশে গাছ লাগান এতে করে বাড়ির তাপমাত্রা কম থাকবে যার ফলে এসি চালানোর প্রয়োজন পড়বে না। অনেক সময় আমরা লাইট ফ্যান অন থাকা অবস্থায় ঘুমিয়ে যাই বা বাইরে কোথাও চলে যাই। এটা বিদ্যুতের একটি অপচয় তাই অপচয় রোধ করার জন্য অবশ্যই আমাদের ঘুমানোর আগে লাইট অফ এবং বাইরে কোথাও যাওয়ার আগে লাইট ফ্যান অফ করে যেতে হবে।
 
আমাদের প্রায় সকলের সকলের বাড়িতেই ফ্রিজ রয়েছে ফ্রিজে কোন কিছু ঠান্ডা করার পর তার টেম্পারেচার স্বাভাবিক অবস্থা রাখতে হবে এতে করে বিদ্যুতের অপচয় রোধ করা যাবে। বারবার ফ্রিজ খোলা থেকে বিরত থাকুন কারণ ফ্রিজের দরজা খোলা না নেই পুনরায় কম্প্রেশ্বরকে চালানো। সিটিআর টিভির পরিবর্তে এলইডি টিভির ব্যবহার করতে হবে।
 
সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় খরচ একটু বেশি হলেও সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে বিদ্যুতের খরচ অনেক কমে যায় ইচ্ছামতন বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়। জাতীয় গ্রিডের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের বিদ্যুৎ নিজেই উৎপাদন এবং নিজে ব্যবহার করতে পারবেন। এতে করে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করা যায়। আপনি বাড়ির ছাদ কিংবা বারান্দা কিংবা ফটো কোন জায়গায় যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় সেখানে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন করা উচিত।

অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের উপায় ও নিয়মাবলী

বর্তমানে অনেকেই এখন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছে। আগে মানুষ লাইন ধরে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করত যা অনেক সময় সাপেক্ষ এবং বিরক্তিকর ব্যাপার। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা বিকাশ রকেট নগদ এর মাধ্যমে অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছে। যেটা বিদ্যুৎ বিলের ভোগান্তি অনেক কমিয়ে নিয়ে এসেছে। আজ আপনাদের আমি অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার বিভিন্ন প্রসেস দেখাবো নিচে বিস্তারিত দেওয়া হল
কারেন্ট-বিল-বের-করার-নিয়ম
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপস বিকাশ এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য আপনার একটি বিকাশ একাউন্ট থাকা লাগবে। আপনার যদি বিকাশ একাউন্ট থাকে তাহলে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য আপনার বিকাশ একাউন্টে বিদ্যুৎ বিলের সমপরিমাণ অর্থ থাকা লাগবে। যদি একাউন্ট এবং টাকা থাকে তাহলে বিকাশ অ্যাপ ওপেন করে আপনি পে-বিল অপশন সিলেক্ট করুন।

আপনার মিটার প্রিপেইড না পোস্টপেইড তা সিলেক্ট করুন এরপর বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি সিলেট করুন, এবার কাস্টমার আইডি দিন তারপর এমাউন্ট দিয়ে কনফার্ম করে বিকাশ পিন দিয়ে পেমেন্ট করুন। বর্তমানে বিকাশ এবং রকেট সবচেয়ে বৈদ্যুতিক বিল দেওয়ার জনপ্রিয় মাধ্যম। এভাবে আপনি সঠিক নিয়মে বিদ্যুৎ বিল দিতে পারবেন।

বিদ্যুতের একক সম্পর্কে ধারণা থাকা

আমরা বিদ্যুতের বিভিন্ন একক সম্পর্কে জানব। তড়িৎ প্রবাহ বা বিদ্যুৎ প্রবাহের একক হল এম্পিয়ার এবং এর প্রতীক A। সেইসাথে এর মাত্রা I। বিদ্যুতের ক্ষমতা ওয়াট (Watt) দিয়ে প্রকাশ করা হয়, যার প্রতীক W। বিদ্যুতের বিভব পার্থক্য পরিমাপ করা হয়ে থাকে ভোল্ট (Volt) এককে। উপরন্তু বিদ্যুৎ প্রবাহের রেজিস্ট্যান্স R দিয়ে প্রকাশ করা হয়। 

ইলেকট্রিক ডিভাইজে বিদ্যুৎ বিল বের করার নিয়ম

গরমের দিন এবং শীতের দিনে বিদ্যুৎ ব্যবহারে কিছুটা তারতম্য থাকে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমের দিনে আমরা ফ্যান এসি বেশি ব্যবহার করে থাকি। এসব লোড ব্যবহার করার জন্য আমাদের বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। আবার শীতের দিনে অনেকেই গোসল করার জন্য গিজার ব্যবহার করে থাকে এতেও বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইস রয়েছে  আজ ইলেকট্রিক  ফ্যান এসি এবং গিজার এর বিদ্যুৎ ব্যবহার ও খরচ সম্পর্কে জানব। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

গরমের দিনে বাসা বাড়িতে যদি প্রতিদিন ১২ ঘন্টা করে ৩টি ফ্যান চলে এবং ফ্যানের ওয়াট যদি ৫০ ওয়াট হয় তাহলে বিদ্যুৎ খরচ হবে (১২*৩*৫০) = ১৮০০ ওয়াট বা ১.৮ কিলোওয়াট। আবার বিদ্যুৎ বিল যদি প্রতি ইউনিট ৮ টাকা হয় এবং তিনটি ফ্যান যদি প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে চলে তাহলে বিদ্যুৎ খরচ হবে (৮*১.৮) = ১৪.৪ টাকা। প্রতিমাসে ওই ফ্যানের জন্য বিদ্যুৎ খরচ হবে (১৪.৪*৩০) = ৪৩২ টাকা। এসির জন্য কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম জানব।
এসি সাধারণত ঠান্ডা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এজন্য গরমের দিনে এসির চাহিদা বেড়ে যায়।এসির বিদ্যুৎ খরচ সম্পর্কে জানতে হলে এসির ওয়াট সম্পর্কে জানতে হবে। প্রতিটি এসি কেনার সময় আমরা কত টনের এসি নিব তার নির্ধারণ করি। যেমন: ১ টন এসি = ১২০০ ওয়াট বা ১.২ কিলোওয়াট। ১.৫ টন এসি = ১৮০০ ওয়াট বা ১.৮ কিলোওয়াট এবং ২ টন এসি = ২৪০০ ওয়াট বা ২.৪ কিলোওয়াট।
 
ধরুন আপনি ২ টনের ১ টি এসি প্রতিদিন ১০ ঘন্টা করে চালান। তাহলে প্রতিদিনের বিদ্যুৎ খরচ হবে (২.৪*১০) = ২৪ কিলোওয়াট। বিদ্যুৎ বিল যদি ৮ টাকা ইউনিট হয় তাহলে প্রতিদিন বিদ্যুৎ খরচ হবে (২৪*৮) = ১৯২ টাকা। মাসে বিদ্যুৎ খরচ হবে (১৯২*৩০) = ৫৭৬০ টাকা। ইনভার্টার এসি হলে খরচ একটু কম হবে। তাই এসি কিনার সময় অবশ্যই কম খরচ হবে এরকম এসি কিনবেন।

সময় মত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করলে করণীয়

অনেকক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে আমরা নিজেদের বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিল সময়মতো পরিশোধে ব্যর্থ হই। ফলে সেই বিল জমা হয় বকেয়ার খাতায়। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ে বকেয়া বিল পরিশোধ করার সুযোগ আমাদের প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে উক্ত নির্দিষ্ট সময়ের বিল পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারে। 

আমাদের দেশের অধিকাংশ বৈদ্যুতিক সংযোগ পোস্টপেইড মিটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলেও বর্তমানে প্রিপেইড মিটারের ছোঁয়া পেয়েছে প্রিয় মাতৃভূমি। ফলে গ্রাহকরা নানান সুবিধা ভোগ করছেন। ধীরে ধীরে দেশে প্রিপেইড মিটার বিস্তার লাভ করছে। যেহেতু বাংলাদেশে দুই ধরনের মিটারের প্রচলন রয়েছে, তাই সেখানে বকেয়া বৈদ্যুতিক বিল পরিশোধের ক্ষেত্রেও কিছুটা ভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। 

পোস্টপেইড মিটারের ক্ষেত্রে মাসিক মোট বিল পরিশোধের একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা থাকে। উক্ত সময়ের মধ্যে মাসিক বিল পরিশোধ করতে না পারলে মোট বিলের সাথে একটি বিলম্ব ফি যুক্ত হয়। ফলে মাসিক মোট বিলের সাথে বিলম্ব ফি সংযুক্ত হয়ে পরিশোধযোগ্য সর্বমোট টাকা নির্ধারণ হয়ে থাকে, যা ব্যাংক কিংবা নির্দিষ্ট মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। এভাবেই মূলত পোস্টপেইড মিটারের মাসিক বিলম্ব ফি পরিশোধ করা হয়ে থাকে।
 
বিভিন্ন সুবিধা সম্বলিত প্রিপেইড মিটার বিদ্যুৎ পরিষেবাকে একটি অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। উক্ত পদ্ধতিতে গ্রাহকরা পরিষেবা গ্রহণের পূর্বে বিশেষত অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে মিটারে টাকা রিচার্জ করে বিদ্যুতের আওতায় আসেন। তবে কোনো কারণে গ্রাহক মিটারে টাকা রিচার্জ না করাই মজুদ ফুরিয়ে আসলে মিটার জরুরি ক্রেডিটসীমায় পৌঁছে যায় এবং মিটারে এলার্ম বাজে। 

এক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে গ্রাহক মিটারকার্ডের মাধ্যমে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে জরুরি ক্রেডিট নিতে পারবেন। তিনি যখন পরবর্তীতে মিটারে টাকা রিচার্জ করবেন, তখন সেখান হতে পূর্বে গ্রহণকৃত বকেয়া কর্তন করা হবে। এভাবে গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের কল্যাণে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিশেষ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, প্রতিবার রিচার্জের পরে কেবল একবার জরুরী ক্রেডিট লাভ করা যায়। 

বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করার উপায়

অনেক সময় কারিগরি ত্রুটি বা অন্য কোন কারণেও বিদ্যুৎ বিল ভুল আসে। যেটা গ্রাহকের জন্য অত্যন্ত ভোগান্তি ও বিরক্তি কর। অনেক সময় মিটারে বর্তমান রিডিং এর সঙ্গে বৈদ্যুতিক বিলের রিডিং কম বেশি হয়। যার কারণে গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলের ত্রুটি থেকে যায়। এটা ঠিক করার জন্য আপনাকে বিদ্যুৎ বিল অফিসে যেতে হবে এবং মিটারে যদি কোন প্রবলেম থাকে তাহলে মিটারের সমস্যা সমাধান করতে হবে নয়তোবা নতুন মিটার সংযোগ নিতে হবে।

এছাড়াও বিদ্যুৎ বিলের কোনো সমস্যা থাকলে সঠিক সমাধানের জন্য অবশ্যই আপনাকে বিদ্যুৎ সংযোগ অভিযোগ কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে। সময় মত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করলে করণীয় সংযোগ বিচ্ছিন্ন এড়াতে আপনাকে অবশ্যই সময়মতো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে। আপনাদের যাদের প্রিপেইড মিটার রয়েছে তারা মিটারে লিমিট শেষ হওয়ার আগেই রিচার্জ করতে হবে। তা না হলে আপনার সংযোগ দিয়ে সাময়িকভাবে হতে পারে।
 
তবে পোস্টপেইড মিটারের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা বয়ে নিয়ে আসে। পোস্টপেইড মিটারে সঠিক সময়ে বিদ্যুৎ বিল না দিলে আপনার সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হতে পারে। যার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করার মাধ্যমে আপনার সংযোগটি পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে যা একটি সময় সাপেক্ষ ও ঝামেলার ব্যাপার। এছাড়াও সময় মত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করার কারণে আপনাকে অতিরিক্ত জরিমানা গুনতে হবে। 

মন্তব্য ঃ কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম 

কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কিভাবে বিদ্যুৎ বিলের ইউনিট বের করা যায় এবং বিদ্যুতের খরচ সম্পর্কে জানা যায়। উপরের নিয়ম গুলো জানা থাকলে আপনি সহজেই বিদ্যুৎ বিল সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ইলেকট্রিক ডিভাইসের বিদ্যুতের খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং কিভাবে এগুলোকে ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারবেন তা জানতে পেরেছেন।
 
উপরের তথ্য অনুযায়ী আপনি সঠিকভাবে বিদ্যুৎ বিল সম্পর্কে ধারণা নিয়ে বিল তৈরি করতে পারবেন। আশা করছি আপনি আর্টিকেলটি পড়ে বিদ্যুৎ বিল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো এবং শেয়ার করবেন। আমাদের আর্টিকেলে সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Neha IT নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url