প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায় ২০২৫
প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায় আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা বিস্তারিত জানতে
পারব। অনেকেই প্রবাসী লোন সম্পর্কে তেমন কিছু জানেনা, বর্তমানে বাংলাদেশে
প্রবাসী লোন অতি সহজেই পাওয়া যায়।
আমাদের দেশে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবাসীদের আর্থিক সহায়তার জন্য এবং প্রবাসে
অবস্থানকালীন দেশে পরিবারের আর্থিক সহায়তার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক গুলোকে ঋণ
দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিচে প্রবাসী লোন সম্পর্কে জানা যাক।
সূচিপত্র ঃ প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায়
- প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায়
- কোন ব্যাংকগুলো প্রবাসীর লোন প্রদান করে থাকে
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হাউজ লোন
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি
- মন্তব্য ঃ প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায়
প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায়
প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায় এটা জানার আগে অবশ্যই আপনাকে প্রবাসী লোন
সম্পর্কে জানতে হবে। প্রবাসী লোন বলতে মূলত কোন ব্যক্তি প্রবাসে যাওয়ার
উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট ভিসা করার পর কোন ব্যাংক বা কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে
আর্থিক সহায়তা এবং কোন ব্যক্তি প্রবাসে থাকাকালীন দেশে অবস্থানরত পরিবারের
জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কিছু লাভ দিয়ে ওই
টাকা পরিশোধ করায় প্রবাসী লোন।
বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক নীতি বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে
যে সকল নাগরিক বিদেশে অবস্থানরত বা যে সকল নাগরিক যাওয়ার জন্য প্রস্তুত
কেবলমাত্র সেই সকল নাগরিকই প্রবাসী ঋণের সকল সুযোগ সুবিধা পাবেন। খুব অল্প
সময়ের মধ্যে প্রবাসী ঋণ পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার চাকরির বৈধ ভিসা থাকা
লাগবে। আপনি বৈধ ভিসাতে প্রবাসে কি পরিমান অর্থ উপার্জন করছেন এবং কি পরিমান
রেমিটেন্স দেশে পাঠাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে আপনার ঋণের অর্থ নির্ধারণ হবে।
প্রবাসী লোন পাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আপনার
জামিনদার। কারণ আপনি বিদেশে থাকা অবস্থায় বা বিদেশে যাওয়ার পরে যদি কোনো
কারণবশত আপনি ঋণের অর্থ পরিশোধ না করেন তাহলে আপনার জামিনদার সেই অর্থ পরিশোধ
করতে বাধ্য থাকিবে। তবে আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে আপনি যাকে জামিনদার রাখবেন
তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক এবং সরকারি চাকরিজীবী হতে হবে।
আরও পড়ুন ঃ ইউরোপের ২৭ টি দেশের নাম ২০২৫
এছাড়াও প্রবাসী লোনার জন্য আপনার বৈধ ভিসা, পাসপোর্ট, কিছু কন্টাক্ট পেপার,
ছবি এবং আপনার অঙ্গীকারনামা লাগবে। সাথে অবশ্যই আপনাকে একটি ব্যাংক বাছাই করা
লাগবে এবং সে ব্যাংকের অঙ্গীকার নামার প্রয়োজন হবে। বিদেশে আপনি যেখানে চাকরি
করেন বা যে কোম্পানিতে চাকরির উদ্দেশ্যে বিদেশ যাচ্ছেন সেখানকারও কিছু কাগজপত্র
লাগবে। উপরে উল্লেখিত সবকিছু যদি আপনার বৈধ ও সঠিক উপায় করা থাকে তাহলে খুব
অল্প সময়ের মধ্যে আপনি প্রবাসী লোন পেয়ে যাবেন।
কোন ব্যাংকগুলো প্রবাসীর লোন প্রদান করে থাকে
যে সকল ব্যাংকগুলো প্রবাসী লোন প্রদান করে থাকে তা আপনাদের সকলের জানা উচিত।
কারণ যারা প্রবাসে অবস্থানকালীন দেশে বসবাসরত পরিবারের জন্য লোন নিতে চাই তাদের
অবশ্যই যে সকল প্রতিষ্ঠানগুলো প্রবাসী লোন দিয়ে থাকে তাদের সম্পর্কে ভালোভাবে
সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। তা নাহলে আপনার লোন পেতে একটু কঠিন হয়ে যাবে।
এছাড়াও আপনার সঠিক তথ্য জানা থাকলে আপনার অনেক পরিচিতদের তথ্য দিয়েও আপনি
প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায় তা জানাতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা
অনুযায়ী বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা প্রবাসী লোন প্রদান
করে থাকে। প্রবাসী লোন দিয়ে থাকে এমন কিছু ব্যাংকের নাম নিচে দেওয়া হল।
- বাংলাদেশ ব্যাংক
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
- রূপালী ব্যাংক
- ইসলামী ব্যাংক
- অগ্রণী ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- উত্তরা ব্যাংক
- যমুনা ব্যাংক
- ডাচ বাংলা ব্যাংক
- ব্র্যাক ব্যাংক ইত্যাদি
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতেই এক বা একাধিক রয়েছে। অনেকে
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সম্পর্কে জানার সঠিক তথ্য না জানার কারণে প্রবাসী লোন
পাই না। বাংলাদেশের সকল জেলাতেই যেহেতু প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক রয়েছে তাদের ফোন
নম্বর কিভাবে পাবেন সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে তা জানতে পারবেন। প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক একটি সমাজসেবা মূলক ব্যাংক। কারণ এটি বিপদের সময় আর্থিক সহায়তা প্রদান
করে থাকে।
এ ব্যাংকটি প্রবাস কেন্দ্রিক হওয়ায় ব্যাংক ও প্রবাসী সঙ্গে একটু মিল রয়েছে।
প্রবাসী ভাইদের জন্য এ ব্যাংকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাংকে কোন
সার্ভিস চার্জ নেই। এ ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য কিছু বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে
থাকে এবং বাড়তি কিছু সময় দিয়ে থাকে ঋণ পরিশোধ করার জন্য। প্রতিটি জেলায়
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নম্বর কিভাবে পাবেন তা জানা যাক।
জেলা | মোবাইল নাম্বার |
---|---|
রাজশাহী | ০১৭০০৭০২৭৩২ |
চাঁপাইনবাবগঞ্জ | ০১৭০০৭০২৭৩৩ |
বগুড়া | ০১৭০০৭০২৭৩৪ |
নওগাঁ | ০১৭০০৭০২৭৩৫ |
পাবনা | ০১৭০০৭০২৭৩৬ |
সিরাজগঞ্জ | ০১৭০০৭০২৭৩৭ |
নাটোর | ০১৭১৩০৫৭৫৩৩ |
জয়পুরহাট | ০১৭১৩০৫৭৫৫০ |
ঢাকা | ০১৭০০৭০২৭০০ |
টাঙ্গাইল | ০১৭০০৭০২৭০২ |
ফরিদপুর | ০১৭০০৭০২৭০৩ |
মুন্সিগঞ্জ | ০১৭০০৭০২৭০৪ |
নারায়ণগঞ্জ | ০১৭০০৭০২৭৪৮ |
মানিকগঞ্জ | ০১৭০০৭০২৭০৬ |
গোপালগঞ্জ | ০১৭০০৭০২৭০৭ |
কিশোরগঞ্জ | ০১৭০০৭০২৭০৮ |
মাদারীপুর | ০১৭০০৭০২৭০৯ |
নরসিংদী | ০১৭০০৭০২৭১০ |
শরীয়তপুর | ০১৭০০৭০২৭১১ |
রাজবাড়ি | ০১৭০০৭০২৭১৩ |
গাজীপুর | ০১৭০০৭০২৭১৫ |
চট্টগ্রাম | ০১৭০০৭০২৭১৭ |
কুমিল্লা | ০১৭০০৭০২৭১৮ |
বি বাড়িয়া | ০১৭০০৭০২৭২০ |
কক্সবাজার | ০১৭০০৭০২৭২১ |
চাঁদপুর | ০১৭০০৭০২৭২৩ |
নোয়াখালী | ০১৭০০৭০২৭১৯ |
রাঙ্গামাটি | ০১৭০০৭০২৭২২ |
ফেনী | ০১৭০০৭০২৭২৫ |
লক্ষ্মীপুর | ০১৭০০৭০২৭৫২ |
হাটহাজারী | ০১৭০০৭০২৭২৪ |
লাকসাম | ০১৭১৩০৫৭৫৬০ |
রংপুর | ০১৭০০৭০২৭৪১ |
দিনাজপুর | ০১৭০০৭০২৭৪২ |
গাইবান্ধা | ০১৭০০৭০২৭৫১ |
ঠাকুরগাঁ | ০১৭১৩০৫৭৫৫১ |
পঞ্চগড় | ০১৭১৩০৫৭৫৬৬ |
নীলফামারী | ০১৭১৩০৫৭৫৭০ |
কুড়িগ্রাম | ০১৭০০৭০২৭৪৩ |
লালমনিরহাট | ০১৭১৩০৫৭৫৫৩ |
বরিশাল | ০১৭০০৭০২৭৪৪ |
ভোলা | ০১৭০০৭০২৭৪৫ |
পটুয়াখালী | ০১৭০০৭০২৭৪৬ |
পিরোজপুর | ০১৭০০৭০২৭৪৭ |
বরগুনা | ০১৭১৩০৫৭৫৩৪ |
ঝালকাঠি | ০১৭১৩০৫৭৫৭৩ |
খুলনা | ০১৭০০৭০২৭৩৮ |
কুষ্টিয়া | ০১৭০০৭০২৭৩৯ |
যশোর | ০১৭০০৭০২৭৪০ |
নড়াইল | ০১৭০০৭০২৭৪৯ |
মাগুরা | ০১৭০০৭০২৭৫৩ |
ঝিনাইদহ | ০১৭১৩০৫৭৫৩৭ |
বাগেরহাট | ০১৭১৩০৫৭৫৩৫ |
সাতক্ষীরা | ০১৭১৩০৫৭৫৩৬ |
চুয়াডাঙ্গা | ০১৭১৩০৫৭৫৩৮ |
মেহেরপুর | ০১৭১৩০৫৭৫৪১ |
সিলেট | ০১৭০০৭০২৭২৮ |
মৌলভীবাজার | ০১৭০০৭০২৭২৯ |
সুনামগঞ্জ | ০১৭০০৭০২৭৩০ |
হবিগঞ্জ | ০১৭০০৭০২৭৩১ |
ময়মনসিংহ | ০১৭১৩০৫৭৫৪৯ |
জামালপুর | ০১৭০০৭০২৭৫০ |
শেরপুর | ০১৭১৩০৫৭৫৩১ |
নেত্রকোনা | ০১৭১৩০৫৭৫৩২ |
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়
প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান প্রবাসী ঋণ প্রদান করে
থাকে। অনেকেই জানেন না লোন কিভাবে পাওয়া যায় এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন কত
পরিমাণ অর্থ দেয়। এটা নির্ভর করে আপনার কাজের ধরন এবং আয়ের উৎসর ওপর। আপনি
যদি প্রবাসি ঋণ নিয়ে প্রবাসে গমন করেন তাহলে আপনার জামিনদারের আয়ের উৎসের ওপর
নির্ভর করে আপনি সেই পরিমাণ লোন পাবেন।
লোন পাওয়ার পর আপনি বিদেশে যাওয়ার পরে অন্তত দুই মাস বা ৬০ দিন আপনাকে কোন
প্রকার লোনের কিস্তি পরিশোধ করতে হবে না। এটা সম্পূর্ণ আপনাকে ব্যাংক সুবিধা
দিয়ে রেখেছে। আর যারা বিদেশে কর্মরত অবস্থায় রয়েছে তাদের লোনের ক্ষেত্রে
তাদের আয়ের উৎস এবং কি পরিমান রেমিটেন্স দেশে পাঠাই তার ওপর নির্ভর করে।
রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে রেমিটেন্সের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে
হবে।
আরও পড়ুন ঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps 2025
যদি আপনার ইনকাম অধিকতর হয় তাহলে অবশ্যই ব্যাংক থেকে মোটা অংকের অর্থ ঋণ নিতে
পারবেন। ঋণ নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার কর্মস্থলের কথা উল্লেখ করতে হবে।
আপনি বিভিন্ন ধরনের ঋণ নিতে পারেন যেমন- ব্যবসায়ীক ঋণ, গৃহ নির্মাণ ঋণ এবং
ব্যক্তিগত ঋণ। সরকার যেহেতু প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীদের অনেক
সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে তাই আপনাকে এর সঠিক নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। তাহলে আপনি
সারা জীবন ভালো মানের সেবা পেতে বাধ্য।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার
ব্যাংক লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে এর সুদের হার জানা প্রত্যেকের উচিত। কেননা আপনি কি
পরিমাণ লোন নিচ্ছেন এবং এর সুদ কত টাকা দিচ্ছেন তা জানতে হবে। প্রবাসীদের জন্য
অনেক ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা প্রবাসীদের সহজ শর্তে বিনা জামানাতে
ব্যাংক ঋণ প্রদান করে থাকে। তবে সবচেয়ে অন্যতম ব্যাংক হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক। কারণ এখানে খুব সহজেই প্রবাসীদের জন্য আবেদন করার অল্প কিছুদিনের
মধ্যেই লোন পাওয়া যায়।
তবে এখানে লোন পাওয়ার জন্য আপনার কিছু বৈধ কাগজপত্র লাগবে। লোন পেতে হলে
অবশ্যই আপনাকে প্রবাসী হওয়া লাগবে। এখানে আপনাকে প্রথম দুই মাস কোন প্রকার ঋণ
পরিশোধ করতে হবে না। এখানে ব্যাংক সুদের হার ৯% তবে সময় মত ব্যাংক ঋণ পরিশোধ
করতে না পারলে সাথে আরো ২% যোগ হবে। তাই ব্যাংক ঋণ নেওয়ার পর অবশ্যই আপনাকে
সঠিক সময়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ঋণ নেওয়ার জন্য প্রথমেই আপনাকে আবেদন করা লাগবে। এ
ব্যাংকে আবেদন করার জন্য কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো আপনাকে জানতে হবে। তা
না হলে অনেকেই বারবার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ঋণ আবেদন জমা দেওয়ার পরেও ব্যাংক
ঋণ পাচ্ছে না। তাই প্রবাসী ব্যাংক ঋণ পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ব্যাংকের
নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এই ব্যাংকে আবেদন করার জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন
হবে।
ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
আপনার বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছর হতে হবে। তবে পূর্বে থেকে যারা ঋণ গ্রহণ করে আসছে
তাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। আপনি ঋণ গ্রহণ করার পর ঋণ পরিশোধ করার
সক্ষমতা থাকতে হবে। যখন আপনি প্রবাসী হয়ে আবেদন করবেন তখন আপনার একটি বৈধ ভিসা
থাকতে হবে। আপনার পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ড এবং রঙ্গিন ছবি বাধ্যতামূলক। আপনার
স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
আরো একটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সেটা হচ্ছে আপনার
জামিনদার। আপনি যখন প্রবাসী লোন গ্রহণ করবেন তখন অবশ্যই আপনার একটি জামিনদার
থাকতে হবে। আপনার জামিনদারের অবশ্যই সরকারি চাকরি থাকতে হবে। কেননা আপনি যদি
কখনো কোন কারণে ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে অক্ষম হন তবে আপনার জামিনদার ব্যাংক লোন
পরিশোধ করতে বাধ্য থাকিবে। এ সকল বিষয়গুলো আপনাকে মাথায় রেখে প্রবাসী ব্যাংক
লোনের জন্য আবেদন করবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হাউজ লোন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের নিজ দেশে বাড়ি তৈরি করার জন্য গৃহঋণ প্রদান
করে থাকে। এই গৃহঋণ নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্রবাসী হতে হবে। আপনার রেমিটেন্সের
ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে এবং আপনার বৈধ সব ডকুমেন্ট থাকতে হবে। এই লোনের
ক্ষেত্রেও আপনার জামিনদার থাকতে হবে। এখানে আপনি জামানত ও বিনা জামানতেও
ব্যাঙ্ক ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। বিনা জামানতে ঋণের জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ
টাকা পর্যন্ত ব্যাংক ঋণ প্রদান করবে।
যদি আপনি ৩ লক্ষ টাকার উপরে ব্যাংক ঋণ নিতে চান তবে আপনাকে সহজ শর্তে কিছু
জামানত জমা দিতে হবে এবং এর সীমাবদ্ধ থাকবে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আবার আপনি যদি
৫ লক্ষ টাকার উপরে ঋণ নিতে চান তবে অবশ্যই আপনার জামিনদারের স্থাবর অস্থাবর
সম্পত্তির ডকুমেন্ট ব্যাংকের অনুকূলে দায়বদ্ধ রাখতে হবে। সর্বোচ্চ আপনি ৫০
লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহ নির্মাণ ঋণ নিতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন সুবিধা হল এখানে বিনা জামানতে সহজ শর্তে অল্প
সময়ের মধ্যে লোন প্রদান করে থাকে। বেশিরভাগ মানুষ এই ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ
করে কারণ এখানে কোন ধরনের এক্সট্রা কোন ধরনের সার্ভিস চার্জ নেই। এ ব্যাংকের
সুদের হার ৯% হওয়াই অনেকেই এই ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে থাকে।
আরও পড়ুন ঃ ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে
বিনা জামানতে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ
দিয়ে থাকে। আবেদন করার খুব অল্প সময়ে মাত্র ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই ব্যাংক ঋণ
প্রদান করে। যে কারণে অনেকেই কোন ঝামেলা ছাড়াই সহজভাবেই অল্প সময়ের মধ্যে
ব্যাঙ্ক ঋণ গ্রহণ করে। তবে অবশ্যই আপনাকে আবেদনের সঙ্গে আপনার সঠিক কাগজপত্র
জমা দিতে হবে।
আপনি প্রবাসে যাওয়ার সাথে সাথেই ইনকাম করতে পারবেন না সেজন্য প্রবাসী ব্যাংক
আপনাকে ৬০ দিনের জন্য কোন প্রকার ঋণের কিস্তি শোধ করতে হবে না। আপনি যদি আপনার
ঋণ সঠিক সময়ে সম্পূর্ণ পরিশোধ করে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে আপনার অন্য কোন
সমস্যা হলে ঋণ পেতে সহজ হবে। ঋণের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক সারা জীবন আপনার সেবা দিয়ে থাকবে।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট
থাকতে হবে। কেননা ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট ছাড়া আপনি এই ব্যাংক থেকে কোন প্রকার
প্রবাসী লোন পাবেন না। বর্তমান ইসলামী ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য সহজ শর্তে
প্রবাসী লোন প্রদান করে থাকে। তবে ইসলামী ব্যাংকের লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু
নিয়ম-কানুন রয়েছে যেগুলো আপনাদের জানা অত্যন্ত জরুরী। প্রবাসী লোন নেওয়ার
জন্য ইসলামী ব্যাংকে আপনার একাউন্টের পাশাপাশি কিছু কাগজপত্র লাগবে।
- ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট
- পাসপোর্ট
- গ্রাহকের সঠিক ভিসা
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
- গ্রাহকের মাসিক বেতনের প্রমাণাদি
- ভোটার আইডি কার্ড
- জামিন্দারের তথ্য
- ইউনিয়ন পরিষদের সনদপত্র
- বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছর হতে হবে
ইসলামী ব্যাংক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হয়েও প্রবাসী লোন দিয়ে থাকে। কারণ
সাধারণত অনেক মানুষের কাজ করা সক্ষমতা থাকলেও বিদেশে যাওয়ার সক্ষমতা নাই।
ইসলামী ব্যাংক এসব মানুষদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের কিছু সহজ শর্তে
প্রবাসী ঋণ প্রদান করে থাকে। তবে তারা ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি এই ঋণের মুনাফা
নিয়ে থাকে।এভাবে ইসলামী ব্যাংক প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে প্রবাসীদের ব্যাংক
লোন দিয়ে থাকে। এতে করে প্রবাসীরা অনেক উপকৃত হয়।
মন্তব্য ঃ প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায়
প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায় তা আপনারা উপরে আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই বিস্তারিত
বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি প্রবাসী লোন নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার সঠিক
কাগজপত্র থাকতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কি শর্তে লোন দিচ্ছে তা আপনাকে
জানতে হবে। প্রবাসীদের উপকার করার জন্যই প্রবাসী লোন দিয়ে থাকে আপনাকে এর সঠিক
ব্যবহার করতে হবে।
আপনি যদি আর্থিক সহায়তা নিয়ে বিদেশে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি বাংলাদেশে
অনেক ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো থেকে সহজ শর্তে ব্যাংক লোন পেতে
পারেন। উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এরকম তথ্য সেবা মূলক আর্টিকেল পড়তে চাইলে আমাদের
আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের
সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।
Neha IT নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url