ইউরোপের ২৭ টি দেশের নাম ২০২৫
ইউরোপের ২৭ টি দেশের নাম ২০২৫ সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। ইউরোপ ভ্রমণ করার ইচ্ছা সব
মানুষেরই থাকে। তবে সেনজেন ভুক্ত দেশগুলোতে যাওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি
থাকে।
কারণ সেনজেনভুক্ত দেশের অর্থনীতি অনেক মজবুত এবং পর্যটক ও পেশাজীবীদের জন্য অনেক
উন্নত। নিচে আপনাদের ইউরোপের ২৭ টি দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। তবে আর
দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্র : ইউরোপের ২৭ টি দেশের নাম ২০২৫
ইউরোপের ২৭ টি দেশের নাম ২০২৫
পর্তুগাল : পর্তুগাল দক্ষিণ পশ্চিমে ইউরোপ মহাদেশের একটি দেশ। পর্তুগাল সেনজেন
ভুক্ত দেশ। দেশটির উত্তর-পূর্বে রয়েছে স্পেন এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে আটলান্টিক
মহাসাগর অবস্থিত। পর্তুগালের রাজধানী লিসবন। সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করে ১৯৯১
সালের ২৫ শে জুন।
স্পেন : স্পেন সেনজেনভুক্ত ইউরোপ মহাদেশের একটি দেশ। এর দক্ষিণ পূর্বে ভূমধ্যসাগর
অবস্থিত। উত্তর পূর্বে ফ্রান্সের অবস্থান এবং পশ্চিমে পর্তুগাল ও উত্তরে
আটলান্টিক মহাসাগর অবস্থিত। এর দক্ষিণে রয়েছে জিব্রাল্টার প্রণালী যা স্পেন ও
মরক্কোকে বিভক্ত করেছে এবং আটলান্টিক মহাসাগর ও ভূমধ্যসাগরকে সংযুক্ত করেছে।
স্পেনের রাজধানীর নাম মাদ্রিদ। স্পেন সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করে ১৯৯১
সালে।
ফ্রান্স : ফ্রান্স ইউরোপের সেনজেনভুক্ত একটি দেশ। দেশটির পশ্চিমে আটলান্টিক
মহাসাগর উত্তরে ইংলিশ চ্যানেল এবং দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর অবস্থিত। দৃষ্টির উত্তরে
বেলজিয়াম লুক্সেমবার্গ পূর্বে জার্মানি এবং দক্ষিণ পশ্চিমে স্পেনের অবস্থান।
দেশের রাজধানীর নাম প্যারিস। সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করে ১৯৮৫ সালে।
বেলজিয়াম : বেলজিয়াম ইউরোপের সেনজেনভুক্ত একটি দেশ। দেশটির চারিদিকে
নেদারল্যান্ড লুক্সেমবার্গ জার্মানি ফ্রান্স দ্বারা বেষ্টিত। এর পশ্চিমে রয়েছে
ইংলিশ চ্যানেল। দেশের রাজধানীর নাম ব্রাসেলস। ১৯৮৫ সালে দেশটি সেনজেনের
অন্তর্ভুক্ত হয়।
নেদারল্যান্ড : নেদারল্যান্ড সেনজেন ভুক্ত ইউরোপের একটি দেশ। দেশটির পূর্বে
রয়েছে জার্মানি ও দক্ষিনে বেলজিয়াম এবং উত্তর পশ্চিমে রয়েছে উত্তর সাগর। এর
রাজধানী এমস্টারডাম। ১৯৮৫ সালে সেনজের চুক্তির আওতায় আসে।
আরও পড়ুন : দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps 2025
লুক্সেমবার্গ : লুক্সেমবার্গ ইউরোপ মহাদেশের সেনজেন ভুক্ত এবং ইউরোপের স্থল
বিশিষ্ট একটি দেশ। এর চতুর্দিকে বেলজিয়াম জার্মানি ফ্রান্স এর অবস্থান। ১৯৮৫
সালে দেশটি সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। সেনজেনভুক্ত দেশের মধ্যে এটি সবচাইতে
ধনী দেশ।
সুইজারল্যান্ড : ইউরোপ মহাদেশের সেনজেন ভুক্ত একটি দেশ। সুইজারল্যান্ড স্থল
বিশিষ্ট দেশ হাওয়ায় এর পশ্চিমে রয়েছে ফ্রান্স, দক্ষিনে ইটালি, পূর্বে
লিচেনস্টাইন ও অস্ট্রিয়া এবং উত্তরে জার্মানি। দেশটির ২০০৪ সালে ২৭ শে অক্টোবর
সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করে। সুইজারল্যান্ডের রাজধানীর নাম বার্ন।
লিচেনস্টাইন : লিচেনস্টাইন ইউরোপ মহাদেশের একটি স্থল বিশিষ্ট দেশ। ২০০৮ সালে ২৮
শে ফেব্রুয়ারি দেশটি সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর রাজধানীর নাম ভাদুজ।
লিচেনস্টাইন ১১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এবং স্কান হল বৃহত্তম পৌরসভা।
চেক রিপাবলিক : ইউরো মহাদেশের সেনজেনভুক্ত স্থল বিশিষ্ট একটি দেশ। দেশটি
জার্মানি পোল্যান্ড স্লোভাকিয়া অস্ট্রিয়া দ্বারা বেষ্টিত। এর রাজধানীর নাম
প্রাগ। ২০০৩ সালে ১৬ এপ্রিল দেশটি সেনজেন চুক্তির আওতায় আসে।
ইটালি : ইটালি সেনজেন ভুক্ত দেশ। দেশটির অধিকাংশ ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত। এর
রাজধানীর নাম রোম। ইতালির মধ্যে আরেকটি দেশ ভ্যাটিকান সিটি অবস্থান করছে। ১৯৯০
সালে ইটালি সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
মাল্টা : মালটা হলো ভূমধ্যসাগরের একটি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত ইউরোপের সেনজেন
ভুক্ত একটি দেশ। ২০০৩ সালের ১৬ এপ্রিল মাল্টা সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
অস্ট্রিয়া : অস্ট্রিয়া মধ্য ইউরোপের সেনজেনভুক্ত স্থল বিশিষ্ট একটি দেশ। এর
চতুর্দিকে অবস্থান করছে চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, স্লোভানিয়া,
ইটালি, সুইজারল্যান্ড এবং জার্মানি। দেশটি ১৯৯৫ সালে ২৮ শে এপ্রিল সেনজেন চুক্তি
স্বাক্ষর করেন।
স্লোভানিয়া : স্লোভানিয়ার পূর্বে অবস্থিত হাঙ্গেরি, দক্ষিণে ক্রোয়েশিয়া,
পশ্চিমে ইতালি এবং উত্তরে অস্ট্রিয়া অবস্থান করছে। ২০০৩ সালে সেনজেন চুক্তি
স্বাক্ষর করেন।
স্লোভাকিয়া : স্লোভাকিয়া মধ্য ইউরোপে সেনজেনভক্ত স্থল বিশিষ্ট একটি দেশ। দেশটির
পূর্বে রয়েছে অস্ট্রিয়া এবং চেক রিপাবলিক, উত্তরে পোল্যান্ড, পূর্বে ইউক্রেন
এবং দক্ষিনে হাঙ্গেরি। সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করে ২০০৩ সালের ১৬ এপ্রিল।
লিথুয়ানিয়া : লিথুয়ানিয়া ইউরোপ মহাদেশের বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি
দেশ। ২০০৩ সালে সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। লিথুয়ানিয়ার রাজধানীর নাম ভিলনিয়াস।
লিথুয়ানিয়ার উত্তরে লাটভিয়া, দক্ষিণ পূর্বে বেলারুশ, দক্ষিণ সীমান্তে
পোল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে কালিনিনগ্রাদ ও ব্লাস্ট আছে।
এস্তোনিয়া : এস্তোনিয়া ইউরোপ মহাদেশের সেনজেনভুক্ত দেশ এবং এটি একটি বাল্টিক
রাষ্ট্র। এর পশ্চিমে রয়েছে বাল্টিক সাগর, দক্ষিণের লাটভিয়া, উত্তরে ফিনল্যান্ড
উপসাগর এবং পূর্ব দিকে রাশিয়া দ্বারা সীমাবদ্ধ। এস্তোনিয়ার রাজধানীর নাম তালিন।
২০০৩ সালের ১৬ এপ্রিল এস্তোনিয়া সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
লাটভিয়া : লাটভিয়া ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ এবং এটি একটি বাল্টিক রাষ্ট্র। এর
উত্তরে রয়েছে এস্তোনিয়া, পূর্বে রাশিয়া, দক্ষিনে বেলারুশ ও লিথুয়ানিয়া এবং
পশ্চিমে বাল্টিক সাগর। লাটভিয়ার রাজধানীর নাম রিগা। দেশটি ২০০৩ সালের ১৬ই এপ্রিল
সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করে।
গ্রীস : ইউরোপ মহাদেশের রাষ্ট্র গ্রীস এটি একটি সেনজেনভুক্ত দেশ। দেশটির তিনদিক
ভূমধ্যসাগর দ্বারা বেষ্টিত। দেশটি ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়া মহাদেশের সংযোগস্থলে
অবস্থিত। দৃষ্টির উত্তরে উত্তর মেসোডনিয়া এবং বুলগেরিয়া অবস্থান করছে এবং
উত্তর-পশ্চিমে আলবেনিয়া রয়েছে। দেশের রাজধানীর নাম এথেন্স। দেশটি ১৯৯২ সালের ৬
নভেম্বর সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করে।
হাঙ্গেরি : হাঙ্গেরি এর ইউরোপ মহাদেশের আরো একটি সেনজেনভুক্ত স্থল বিশিষ্ট দেশ।
এর পূর্বে রয়েছে রোমানিয়া ও ইউক্রেন, উত্তরের রয়েছে স্লোভাকিয়া, পশ্চিমে
রয়েছে অস্ট্রিয়া, স্লোভানিয়া ও ক্রোয়েশিয়া এবং দক্ষিণে রয়েছে সার্বিয়া ও
ক্রোয়েশিয়া। হাঙ্গেরি রাজধানীর নাম বুদাপেস্ট। ২০০৩ সালের ১৬ এপ্রিল দেশটি
সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করে।
ডেনমার্ক : ডেনমার্ক পশ্চিম ইউরোপ থেকে শুরু করে উত্তর ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত।
এটি একটি সেনজেনভুক্ত দেশ। ১৯৮৬ সালে ১৯ ডিসেম্বর দেশটির সেনজেন চুক্তিতে
স্বাক্ষর করেন। ডেনমার্কের রাজধানীর নাম কোপেনহেগেন। ডেনমার্কের পশ্চিমে উত্তর
সাগর ও উত্তরে নরওয়ে ও সুইডেন, দক্ষিণে জার্মানি এবং পূর্ব দিকে কৃষ্ণ সাগর
অবস্থিত।
নরওয়ে : নরওয়ে ইউরোপের সেনজেনভুক্ত একটি দেশ। এটি ১৯৯৬ সালের ১৯শে ডিসেম্বর
সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং পুনরায় এটি দ্বিতীয়বার ১৯৯৯ সালে সেনজেন
চুক্তি স্বাক্ষর করে। নরওয়ের রাজধানী অসলো।
পোল্যান্ড : পোল্যান্ড মধ্য ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত একটি দেশ। দেশটি ২০০৩ সালের ১৬ই
এপ্রিল সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর উত্তরের রয়েছে বাল্টিক সাগর, উত্তর
পূর্বে লিথিওনিয়া, পূর্বে বেলারুস, দক্ষিণ পূর্বে ইউক্রেন, দক্ষিণের স্লোভাকিয়া,
দক্ষিণ-পশ্চিমের চেক রিপাবলিক এবং পশ্চিমে জার্মানি অবস্থিত। পোল্যান্ডের
রাজধানীর নাম ওয়ারসা।
ফিনল্যান্ড : ফিনল্যান্ড উত্তর ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত একটি দেশ। ১৯৯৬ সালে ১৯
ডিসেম্বর সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর রাজধানীর নাম হেলসিঙ্কি। এর পূর্ব দিকে
রাশিয়া, পশ্চিমে সুইডেন এবং দক্ষিণ পশ্চিমে বাল্টিক সাগর।
আইসল্যান্ড : আইসল্যান্ড উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত ইউরোপের একটি
সেনজেনভুক্ত দেশ। ১৯৯৬ সালে ১৯ ডিসেম্বর সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করে। পরে
দ্বিতীয়বার এটি ১৯৯৯ সালে ১৮ই মে সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করে।
সুইডেন : সুইডেন উত্তর ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত একটি দেশ। এর পশ্চিমে নরওয়ে, উত্তরে
নরওয়ে, পূর্বে ফিনল্যান্ড এবং দক্ষিণ পূর্বে বাল্টিক সাগর। সুইডেনের রাজধানীর নাম
স্টকহোম।
ক্রোয়েশিয়া : দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের অবস্থিত ক্রোয়েশিয়া সেনজেন ভুক্ত একটি
দেশ। ক্রোয়েশিয়ার রাজধানীর নাম জাগরেব। এটি সর্বশেষ সেনজেন ভুক্ত দেশ ২০২৩
সালের পহেলা জানুয়ারি সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করে। ক্রোয়েশিয়া ২৭তম দেশ হিসেবে
সেনজেন এর সদস্য হয়েছে।
ইউরোপের ধনী ১০টি দেশের নাম
যে দেশের মাথাপিছু জিডিপি সবচেয়ে বেশি সে দেশ সবচেয়ে ধনী। মাথাপিছু জিডিপি হলো
একটি দেশের মোট উৎপাদনকে সে দেশে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করা। এই সংখ্যাটি একটি
দেশের মানুষের মোট আয়ের একটি অনুমান দিয়ে থাকে। ইউরোপের বেশ কিছু সেনজেনভুক্ত
দেশ রয়েছে যেগুলো অনেক বড় অর্থনীতি এবং প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেক বেশি এগিয়ে
রয়েছে।
আরও পড়ুন : কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম
কিছু এমন দেশ রয়েছে যেগুলো অন্যান্য দেশের তুলনায় মাথাপিছু জিডিপি তে অনেক বেশি
উন্নত। আবার কিছু দেশ রয়েছে যেগুলো আগে থেকেই অন্যান্য দেশের তুলনায় তাদের
অর্থনৈতিক অনেক মজবুত। এমনই ইউরোপের ১০টি শক্তিশালী অর্থনীতির দেশের নাম নিচে
দেওয়া হল।
- লুক্সেমবার্গ
- আয়ারল্যান্ড
- নরওয়ে
- সুইজারল্যান্ড
- আইসল্যান্ড
- ডেনমার্ক
- নেদারল্যান্ডস
- অস্ট্রিয়া
- সুইডেন
- জার্মানি
ইউরোপের গরীব ১০টি দেশের নাম
ইউরোপে মোট ৫০ টি দেশ রয়েছে যার মধ্যে অনেক দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক বেশি
এগিয়ে রয়েছে। আবার কিছু কিছু দেশ রয়েছে যেগুলো অর্থনৈতিক দিক দিয়ে কিছুটা
পিছিয়ে রয়েছে। কারণ অনেক মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য ইউরোপে পাড়ি দেয়। তাই
উন্নত দেশে কর্মসংস্থানের জন্য অবশ্যই সে দেশের জিডিপি সম্পর্কে ধারণা থাকতে
হবে।
একটি দেশের জিডিপির উপর নির্ভর করে সেদেশ কতটা উন্নত। তাই উন্নত দেশের পাশাপাশি
অনুন্নত দেশ সম্পর্কেও জানতে হবে। নিচে ইউরোপের ১০ টি গরিব দেশের তালিকা দেওয়া
হলো।
- মলদোভা
- ইউক্রেন
- কসোভা
- জর্জিয়া
- আলবেনিয়া
- উত্তর
- মেসেডোনিয়া
- বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
- মন্টেনিগ্রো
- সার্বিয়া
- বুলগেরিয়া
ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকা
বর্তমানে ইউরোপ মহাদেশ ৫০ টির মতো দেশ রয়েছে। ১৯৮৫ সালে সেনজেন নামে একটি চুক্তি
স্বাক্ষরিত হয় যেটি মূলত ইউরোপের একটি ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক চুক্তি। সেনজেন ২৭ টি
দেশ নিয়ে গঠিত যেটা মূলত মেন ইউরোপ কাভার করে। সেনজেন ভুক্ত দেশগুলো তাদের
বর্ডার তুলে নিয়ে মানুষের যাতায়াতের সীমাবদ্ধতা সহজলভ্য করেছে।
আপনি যেকোনো সেনজেনভুক্ত একটি দেশের ভিসা করে অন্যান্য সেনজেনভুক্ত দেশে ঘুরতে
পারবেন। এড দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য আপনাকে বড় কোন নিয়ম-কানুনের
ঝামেলায় পড়তে হবে না। সেনজেন ভিসা নিয়ে আপনি সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকার অনুমতি
পাবেন। তবে আপনার ভিসার ধরনের ওপর নির্ভর করবে। নিচে সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকা
দেওয়া হল।
- অস্ট্রিয়া
- পর্তুগাল
- ফ্রান্স
- স্পেন
- বেলজিয়াম
- লুক্সেমবার্গ
- নেদারল্যান্ড
- সুইজারল্যান্ড
- লিচেনস্টাইন
- ইতালি
- মাল্টা
- চেক রিপাবলিক
- স্লোভাকিয়া
- স্লোভানিয়া
- এস্তোনিয়া
- লিথুয়ানিয়া
- লাটভিয়া
- হাঙ্গেরি
- গ্রীস
- ডেনমার্ক
- নরওয়ে
- ফিনল্যান্ড
- পোল্যান্ড
- সুইডেন
- আইসল্যান্ড
- ক্রোয়েশিয়া
ইউরোপের নন সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা
ইউরোপের দেশগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে একটি সেনজেনভুক্ত এবং আরেকটি নন
সেনজেনভুক্ত দেশ। ২৭ টি দেশ সেনজেনভুক্তর আওতায় রয়েছে এবং ২ টি দেশ
অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে। আর ২৩টা দেশ নন সেনজেনভুক্ত। অনেকেই ইউরোপ পাড়ি দিতে
চাই কিন্তু তারা সেনজেন এবং সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকা জানেনা।
আরও পড়ুন : বাংলা ইংরেজি আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৬
সেনজেন ভুক্ত দেশের সুযোগ সুবিধা নন সেনজেন চাইতে অনেক বেশি। সেনজেন ভুক্ত দেশে
একটি বিষয় ২৭ টি দেশ ভ্রমণ করা যাবে। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও সেনজেনভুক্ত দেশে
রয়েছে। এদিকে নন সেনজেনভুক্ত দেশে এ সকল কোন সুযোগ সুবিধা নাই। নিচে নন
সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকা দেওয়া হলো।
- আলবেনিয়া
- কসোভা
- ইউক্রেন
- উত্তর মেসিডোনিয়া
- যুক্তরাজ্য
- মালদোভা
- আন্দোরা
- আর্মেনিয়া
- রাশিয়া
- সার্বিয়া
- বেলারুশ
- বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
- মন্টেনেগ্রো
- সুইজারল্যান্ড
- ভ্যাটিকান সিটি
- জর্জিয়া
- মোনাকো
- তুরস্ক
- রোমানিয়া
ইউরোপ মহাদেশের দেশগুলোর নাম ও রাজধানী
ক্রমিক নং | দেশের নাম | রাজধানী |
---|---|---|
১ | আলবেনিয়া | তিরানা |
২ | অ্যান্ডোরা | অ্যান্ডোরা লা ভেল |
৩ | আর্মেনিয়া | ইয়েরেভান |
৪ | অষ্ট্রিয়া | ভিয়েনা |
৫ | বেলারুশ | মিনস্ক |
৬ | বেলজিয়াম | ব্রাসেলস |
৭ | বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা | সারায়েব |
৮ | বুলগেরিয়া | সোফিয়া |
৯ | ক্রোয়েশিয়া | জাগ্রেব |
১০ | সাইপ্রাস | নিকোশিয়া |
১১ | চেক প্রজাতন্ত্র | প্রাগ |
১২ | ডেনমার্ক | কোপেনহেগেন |
১৩ | এস্তোনিয়া | তাল্লিন |
১৪ | ফিনল্যান্ড | হেলসিংকি |
১৫ | ফ্রান্স | প্যারিস |
১৬ | ইংল্যান্ড | লন্ডন |
১৭ | জর্জিয়া | তিবলিসি |
১৮ | জার্মানি | বার্লিন |
১৯ | গ্রীস | অ্যাথেন্স |
২০ | হাঙ্গেরি | বুদাপেস্ট |
২১ | আইসল্যান্ড | রেইকিয়াভিক |
২২ | আয়ারল্যান্ড | ডাবলিন |
২৩ | কসোভা | প্রিস্টিনা |
২৪ | ইটালি | রোম |
২৫ | লাটভিয়া | রিগা |
২৬ | লিথুয়ানিয়া | ভিলনিয়াস |
২৭ | লিচেনইস্টাইন | ভাদুজ |
২৮ | লুক্সেমবার্গ | লুক্সেমবার্গ |
২৯ | মাল্টা | ভ্যালিটা |
৩০ | মলদোভা | কিশিনিউ |
৩১ | ভ্যাটিকান সিটি | ভ্যাটিকান সিটি |
৩২ | মোনাকো | মোনাকো |
৩৩ | মন্টিনেগ্রো | পোডগোরিকা |
৩৪ | নেদারল্যান্ডস | আমস্টারডাম |
৩৫ | উত্তর মেসিডোনিয়া | স্কোপিয়ে |
৩৬ | নরওয়ে | অসলো |
৩৭ | পোল্যান্ড | ওয়ারশ |
৩৮ | পর্তুগাল | লিসবন |
৩৯ | রোমানিয়া | বুখারেস্ট |
৪০ | রাশিয়া | মস্কো |
৪১ | সান মারিনা | সান মারিনা |
৪২ | সার্বিয়া | বেলগ্রেড |
৪৩ | স্লোভানিয়া | লুব্লিয়ানা |
৪৪ | সুইডেন | স্টকহোম |
৪৫ | স্পেন | মাদ্রিদ |
৪৬ | তুরস্ক | আাঙ্কারা |
৪৭ | সুইজারল্যান্ড | বার্ন |
৪৮ | ইউক্রেন | কিয়েভ |
৪৯ | স্লোভেকিয়া | ব্রাতিস্লাভা |
৫০ | আজারবাইজান | বাকু |
মন্তব্য : ইউরোপের ২৭ টি দেশের নাম ২০২৫
ইউরোপের ২৭ টি দেশের নাম ২০২৫ সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। একজন
ব্যক্তির জন্য সেনজেনভুক্ত ভিসা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে
পেরেছেন। একটি দেশের ভিসা নিয়েই আপনি কোন বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই ২৭ টি দেশে
ভ্রমণ করতে পারবেন। তাই সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য সাধারণত মানুষ বেশি
আগ্রহ প্রকাশ করে।
সেনজেনভুক্ত দেশগুলো কোথায় কিভাবে কার পাশে রয়েছে তা আমাদের আলোচনা থেকে জানতে
পেরেছেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ব্লক পেতে আমাদের আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
আমাদের লেখা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। এছাড়াও
আমাদের ওয়েবসাইট সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের যোগাযোগ পেজে যোগাযোগ করবেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ।
Neha IT নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url