ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ভাড়া ও অনলাইন টিকিট ২০২৫ জেনে নিন
আপনি কি ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ভাড়া ও অনলাইন টিকিট সম্পর্কে জানতে
চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আমরা জানাবো কিভাবে এবং কোন
কোন ট্রেনগুলো নিয়মিত ঢাকা টু খুলনা রুটে চলাচল করে।
এছাড়াও আরো জানতে পারবেন ট্রেনগুলোর ধরণ, সিট ক্যাটাগরি ও টিকিটের মূল্য তালিকা।
ট্রেনগুলো কখন এবং কোন রুট দিয়ে চলাচল করে তার বিস্তারিত এই আর্টিকেলে আলোচনা করা
হলো।
সূচিপত্রঃ ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ভাড়া ও অনলাইন টিকিট
- ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ভাড়া ও অনলাইন টিকিট
- ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের তালিকা ২০২৫
- ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
- ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের ভাড়ার তালিকা ২০২৫
- ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের স্টপেজ সমূহ ২০২৫
- ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন
- অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
- ঢাকা টু খুলনা কত কিলোমিটার
- ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের যাতায়াত রুট
- মন্তব্যঃ ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ভাড়া ও অনলাইন টিকিট
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ভাড়া ও অনলাইন টিকিট
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ভাড়া ও অনলাইন টিকিট সম্পর্কে অনেকেই জানেনা।
এই রুটে বর্তমানে ৪টি আন্তঃনগর ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে। খুলনা বাংলাদেশের
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় শহর। এখানে প্রতিনিয়ত রাজধানী ঢাকা থেকে মানুষ
বিভিন্ন ব্যবসায়িক কাজে বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে কিংবা ভ্রমণের
উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে।
আপনি যদি যানজট মুক্ত ভ্রমণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ট্রেনযাত্রা করতে
হবে।কারণ ট্রেন একমাত্র উপায় যেখানে কোন যানজট থাকে না। তাই আপনি যখন ঢাকা
থেকে খুলনা ভ্রমণ করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে এই রুটে চলাচলকারী ট্রেন সম্পর্কে
যথেষ্ট ধারণা রাখতে হবে। এই রুটে কোন ট্রেন গুলো চলাচল করে এবং তাদের নির্ধারিত
সময় জানতে হবে। এছাড়াও এই রুটে চলাচল করার জন্য আপনাকে এর বিভিন্ন স্টপেজ
সমূহ জানতে হবে।
এগুলো জানা থাকলে আপনি কোন ঝামেলা ছাড়াই ঢাকা টু খুলনা সহজেই এবং নিরাপদে
ভ্রমণ করতে পারবেন। স্টপেজ গুলো জানা থাকলে আপনি সহজেই আপনার সুবিধামতো স্টপেজ
থেকে ট্রেনে উঠতে পারবেন। আর্টিকেলে আরো জানতে পারবেন ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের
বিভিন্ন সিটের ক্যাটাগরি এবং টিকিটের মূল্য। কোন কোন দিন ট্রেন বন্ধ থাকে এবং
যাত্রা পথে কোন কোন স্টপেজে ট্রেন বিরতি প্রদান করে। নিচে ঢাকা থেকে খুলনা
যাওয়ার বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের তালিকা ২০২৫
প্রতিনিয়ত ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে বা
ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ট্রেনে যাতায়াত করে থাকে। আপনি যদি এই রুটে ট্রেনে করে
জার্নি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই রুটের সমস্ত ট্রেন সম্পর্কে ধারণা
রাখতে হবে। কারণ আপনি সঠিক ট্রেন নির্বাচন করতে না পারলে আপনার ট্রেনযাত্রা
বিফলে যেতে পারে। এতে করে আপনি সঠিক সময়ে আপনার গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে পারবেন
না।
আপনার গন্তব্য যদি ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে থাকে তাহলে খুলনা আগামী আন্তঃনগর
ট্রেনগুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। এছাড়াও এ ট্রেনগুলো কোন রুট দিয়ে চলাচল
করে সেটিও আপনাকে জানা লাগবে। ট্রেন চলাচলের রুট জানার পরে আপনি বিভিন্ন স্টপেজ
থেকে এই ট্রেনগুলোতে উঠতে পারেন। নিচে ঢাকা থেকে খুলনাগামী ট্রেনের নাম উল্লেখ
করা হলো যেগুলো প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে।
- জাহানাবাদ এক্সপ্রেস (৮২৬)
- সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৬)
- চিত্রা এক্সপ্রেস (৭৬৪)
- রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস (৮২৭)
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনে ভ্রমণ করার জন্য আপনাকে ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে
যথেষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে। কারন আপনার গন্তব্য স্থানে সঠিক সময়ে পৌঁছানোর জন্য
আপনাকে ট্রেনে সঠিক সময়ে উঠতে হবে। তারপর আপনার ক্যাটেগরি সিট অনুযায়ী আপনাকে
আসন গ্রহণ করতে হবে। ঢাকা থেকে প্রতিনিয়ত দিনের বিভিন্ন সময়ে খুলনাগামী
বিভিন্ন ট্রেন চলাচল করে। আপনার সুবিধামত সময়ে সঠিক ট্রেন বাছাই করে আপনি
ভ্রমণ করতে পারেন।
এই রুটে প্রতিদিন দিনে ও রাতে ট্রেন চলাচল করে। আপনি যদি এই রুটের প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তাহলে আপনি দিনে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন। এতে করে এই
রুটের অপরূপ সৌন্দর্য আপনার মনকে প্রফুল্ল করবে। আপনার যাত্রাটি মনোরঞ্জন ও
আনন্দদায়ক হবে। তবে অনেকেই রয়েছে যারা রাত্রে ভ্রমণ পছন্দ করে। নিচে ঢাকা
থেকে খুলনাগামী সমস্ত ট্রেনের সময়সূচি উল্লেখ করা হলো।
ট্রেনের নাম | ধরণ | ছাড়ার সময় | পৌছানোর সময় |
---|---|---|---|
জাহানাবাদ এক্সপ্রেস (৮২৬) | আন্তঃনগর | 08:00 PM | 11:45 PM |
সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৬) | আন্তঃনগর | 08:00 AM | 03:40 PM |
চিত্রা এক্সপ্রেস (৭৬৪) | আন্তঃনগর | 07:30 PM | 04:40 AM |
রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস (৮২৭) | আন্তঃনগর | 06:00 AM | 09:45 AM |
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের ভাড়ার তালিকা ২০২৫
ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনে যাওয়ার জন্য আপনাকে এর ভাড়া সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে
হবে। আপনার যাত্রাকে আরামদায়ক করার জন্য আপনি বিভিন্ন ক্যাটাগরির টিকিট ক্রয়
করতে পারেন। টিকিটের মূল্য নির্ধারিত হয় ট্রেনের ধরন এবং কোচের ক্যাটাগরির
ওপর। বিভিন্ন ট্রেনের টিকিটের মূল্য ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। ট্রেনের মডেল এবং
আধুনিকতার উপর নির্ভর করে টিকিটের মূল্য নির্ধারিত হয়। ঢাকা থেকে খুলনা গামে
আন্তঃনগর ট্রেনগুলো টিকিটের মূল্য ভিন্ন রকমের।
এছাড়াও এই রুটে লোকাল ট্রেন যেগুলো রয়েছে সেগুলোর টিকিটের মূল্য ভিন্ন।
আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে তিন ধরনের টিকিট বিক্রি হয়ে থাকে। এখানে এসি নন-এসি
টিকিট বিক্রি হয়ে থাকে। আপনার সাধ্যমত এই রুটের টিকিট ক্রয় করে ভ্রমণ করতে
পারবেন। আপনি যদি অনেক অসুস্থ হয়ে থাকেন কিংবা আপনার ভ্রমণে যদি শুয়ে থেকে
যাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে এসব আন্তঃনগর ট্রেনে এই সকল সুবিধা গুলো পাবেন। তবে
এখানে আপনার টিকিটের মূল্য বাড়তি হবে। নিচে ঢাকা থেকে খুলনাগামী বিভিন্ন
ট্রেনের নাম ও তাদের টিকিটের মূল্য দেওয়া হলো।
ট্রেনের নাম | ধরণ | শ্রেণী | ভাড়া (ভ্যাট সহকারে) |
---|---|---|---|
জাহানাবাদ এক্সপ্রেস (৮২৬) | আন্তঃনগর | শোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা, এসি সিট | ৪৪৫ টাকা, ৮৫১ টাকা, ১০১৮ টাকা |
সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৬) | আন্তঃনগর | শোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা, এসি সিট | ৬২৫ টাকা, ১১৯৬ টাকা, ১৪৩২ টাকা |
চিত্রা এক্সপ্রেস (৭৬৪) | আন্তঃনগর | শোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা, এসি সিট | ৬৮০ টাকা, ১৩০০ টাকা, ২৩৮৫ টাকা |
রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস (৮২৭) | আন্তঃনগর | শোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা, এসি সিট | ৬২৫ টাকা, ১১৯৬ টাকা, ১৪৩২ টাকা |
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের স্টপেজ সমূহ ২০২৫
ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনে যাওয়ার জন্য এর বিভিন্ন স্টপেজ রয়েছে। যেগুলো জানা
থাকলে আপনি সহজেই আপনার সুবিধামত স্থান থেকে ট্রেনে উঠতে পারবেন। এতে করে আপনার
ভ্রমণ আরামদায়ক হবে। ঢাকা থেকে যখন ট্রেন খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তখন এর
শুরুর স্টপেজ হলো ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। আপনি যদি এই স্টেশন থেকে ট্রেনে
উঠতে না পারেন তাহলে আপনাকে এর পরবর্তী স্টেশন জানতে হবে।
কারণ স্টপেজে ট্রেন বিরতি দেয় যাত্রী উঠানামা করার জন্য। আপনার সুবিধামতো
স্টপেজে অপেক্ষা করবেন আপনার গন্তব্য স্থানের ট্রেন কখন আসবে তার জন্য। তবে
আপনাকে মনে রাখতে হবে ট্রেন সব স্টেশনেই থামেনা। ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার জন্য
ট্রেনের নির্ধারিত কিছু স্টপেজ রয়েছে যেগুলো আপনাকে জানতে হবে। তা নাহলে আপনি ভুলস্টপেজে অপেক্ষা করলে ট্রেন মিস যেতে পারে। নিচে ঢাকা থেকে খুলনাগামী
ট্রেনের স্টপেজ গুলো উল্লেখ করা হলো।
জাহানাবাদ এক্সপ্রেস (৮২৬)
- কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
- ভাঙ্গা জংশন
- কাশিয়ানী জংশন
- লোহাগড়া
- নড়াইল
- সিঙ্গিয়া জংশন
- নোয়াপাড়া
- খুলনা
সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৬)
- কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
- ভাঙ্গা
- ফরিদপুর
- রাজবাড়ী
- পাংশা
- কুষ্টিয়া কোর্ট
- পোড়াদহ জংশন
- আলমডাঙ্গা
- চুয়াডাঙ্গা
- দর্শনা হল্ট
- কোট চাঁদপুর
- মোবারকগঞ্জ
- যশোর
- নোয়াপাড়া
- দৌলতপুর
- খুলনা
চিত্রা এক্সপ্রেস (৭৬৪)
- কমলাপুর রেল স্টেশন
- বিমানবন্দর
- জয়দেবপুর
- টাঙ্গাইল
- মনসুর আলী
- উল্লাপাড়া
- বড়াল ব্রীজ
- চাটমোহর
- ঈশ্বরদী
- ভেড়ামারা
- পোড়াদহ
- আলোমডাঙ্গা
- চুয়াডাঙ্গা
- দর্শনা হল্ট
- কোট চাঁদপুর
- মোবারকগঞ্জ
- যশোর
- নোয়াপাড়া
- খুলনা
রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস (৮২৭)
- কমলাপুর রেলস্টেশন
- ভাঙ্গা জংশন
- কাশিয়ানী জংশন
- নড়াইল
- যশোর
- বেনাপোল
- খুলনা
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন
ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার জন্য একটি দীর্ঘপথ ট্রেনযাত্রা অতিক্রম করতে হয়।
প্রতিনিয়ত এই দীর্ঘপথ অতিক্রম করার কারণে ট্রেনের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ কিছু
ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও ট্রেনের যে কর্মচারী কর্মকর্তা রয়েছে তাদেরও
বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। এসব কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেন এবং ট্রেনের
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ছুটির ব্যবস্থা করে রেখেছে। এই
ছুটির দিনের ট্রেনের বিভিন্ন ত্রুটিগুলো সমাধান করা হয়ে থাকে।
কর্মকর্তা কর্মচারীরা এই ছুটির দিনে তাদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটায় এবং
বিশ্রাম নিতে পারে। এছাড়াও এ ছুটির দিন কে কেন্দ্র করে ট্রেনের বিভিন্ন লাইনের
ত্রুটিগুলো মেরামত করা হয়। কারণ প্রতিনিয়ত ট্রেন চলাচল কারণে লাইনের বিভিন্ন
সমস্যা হতে পারে। তাই সঠিক সময় যেন ট্রেন পুনরায় চলাচল করতে পারে তাই এগুলো
পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে। ঢাকা থেকে খুলনা
যাওয়ার বিভিন্ন ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি উল্লেখ করা হলো।
ক্রমিক নং | ট্রেনের নাম | সাপ্তাহিক ছুটি |
---|---|---|
০১ | জাহানাবাদ এক্সপ্রেস (৮২৬) | সোমবার |
০২ | সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৬) | বুধবার |
০৩ | চিত্রা এক্সপ্রেস (৭৬৪) | সোমবার |
০৪ | রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস (৮২৭) | বুধবার |
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তে ট্রেনযাত্রা করার জন্য আপনাকে ট্রেনের টিকিট কাটতে
হবে। ট্রেনে চলাচলের জন্য আপনি বিভিন্ন ক্যাটাগরির টিকিট ক্রয় করতে পারেন। এই
টিকিট কাউন্টারে ক্রয় করার জন্য যাত্রীদের বিভিন্ন সময় দীর্ঘ লাইন ধরতে হয়,
যেটা একজন যাত্রীর জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে থাকে। বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রীদের
সুবিধার কথা চিন্তা করে কাউন্টারের পাশাপাশি অনলাইনে টিকিট বিক্রি করে থাকে।
অনলাইনে টিকিট ক্রয় করার মাধ্যমে জাতিরা পূর্বে তুলনায় অনেক আরামে টিকিট
ক্রয় করতে পারে।
টিকিট ক্রয় করার জন্য যাত্রীদের রেলের ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট করতে হবে।
এছাড়াও রেলের মোবাইল অ্যাপ রেল সেবা এখানেও অ্যাকাউন্ট করে আপনি অনলাইনে টিকিট
ক্রয় করতে পারেন। অনলাইনে টিকিট ক্রয় করার জন্য আপনাকে একাউন্টের পাশাপাশি
পেমেন্টের মাধ্যমে রাখতে হবে। পেমেন্ট অপশনটি আপনি বিকাশ, রকেট, নগদ এবং
ব্যাঙ্ক কার্ড দিয়ে করতে পারেন। এভাবে আপনি কোন ঝামেলা ছাড়াই অনলাইনে সহজে
টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।
ঢাকা টু খুলনা কত কিলোমিটার
ঢাকা থেকে খুলনা একটি দীর্ঘপথ। তাই এই পথের দূরত্ব অনেকে জানতে চাই বা অনেকে
জানেইনা। ট্রেন যেহেতু বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে খুলনা পৌছাই তাই রেলপথ এবং রোডপথ এই
দুটি পথের দূরত্বের মধ্যে পার্থক্য হতে পারে। আপনি যখন ট্রেনে করে খুলনার
উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন তখন এর দূরত্ব হবে প্রায় ৪১২ কিলোমিটার। এই দূরত্বটা ধরা
হবে ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে খুলনা রেল স্টেশন পর্যন্ত। এছাড়াও আপনি যখন রোড
পথে খুলনা প্রমাণ করবেন তখন ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
কারণ ভিন্ন ভিন্ন রূপ দিয়ে খুলনা যাওয়া যায়। আপনি যেই রুট দিয়ে খুলনা ভ্রমণ
করবেন সেই রুটের দূরত্ব অন্যান্য রুটের তুলনায় কম বেশি হতে পারে। রোড পথে এর
দূরত্ব প্রায় ৩৩৩ কিলোমিটার হয়ে থাকে। রেললাইনে দূরত্ব নির্ভর করে এর যাত্রার
রুটের উপর। যদি ট্রেন পদ্মা সেতু হয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা করে তাহলে এর
দূরত্ব একরকম এবং যমুনা সেতু হয়ে খুলনা অভিমুখে যাত্রা করলে এ দূরত্ব অন্যরকম।
তাই ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার দূরত্ব ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের যাতায়াত রুট
আপনি ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ভাড়া ও অনলাইন টিকিট সম্পর্কে ওপরে
বিস্তারিত জেনেছেন। এখন আপনাদের জানাবো ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার ট্রেনের
বিভিন্ন রুট সম্পর্কে। ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে খুলনা যাওয়ার জন্য কয়েকটি
গুরুত্বপূর্ণ রুট রয়েছে। যেগুলোতে প্রতিদিন নিয়মিত ট্রেন চলাচল করছে। এসব
রুটের চেয়ে ট্রেনগুলোকে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয়। তাই এদের যাত্রা বিরতির
সংখ্যা কিছুটা কম।
ঢাকা থেকে এক একটি ট্রেন ভিন্ন ভিন্ন রুটে চলাচল করে খুলনা পৌঁছায়। ভিন্ন
ভিন্ন রুট হওয়ার কারণে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সময়
বিভিন্ন ট্রেনের বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। আপনি যে রুট দিয়ে চলাচল করুন না কেন
ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার জন্য এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মনোরঞ্জিত করবে।
নিচে ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার বিভিন্ন ট্রেনের রুট সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
জাহানাবাদ এক্সপ্রেস (৮২৬)
- কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
- ভাঙ্গা জংশন
- কাশিয়ানী জংশন
- লোহাগড়া
- নড়াইল
- সিঙ্গিয়া জংশন
- নোয়াপাড়া
- খুলনা
সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৬)
- কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
- ভাঙ্গা
- ফরিদপুর
- রাজবাড়ী
- পাংশা
- কুষ্টিয়া কোর্ট
- পোড়াদহ জংশন
- আলমডাঙ্গা
- চুয়াডাঙ্গা
- দর্শনা হল্ট
- কোট চাঁদপুর
- মোবারকগঞ্জ
- যশোর
- নোয়াপাড়া
- দৌলতপুর
- খুলনা
চিত্রা এক্সপ্রেস (৭৬৪)
- কমলাপুর রেল স্টেশন
- বিমানবন্দর
- জয়দেবপুর
- টাঙ্গাইল
- মনসুর আলী
- উল্লাপাড়া
- বড়াল ব্রীজ
- চাটমোহর
- ঈশ্বরদী
- ভেড়ামারা
- পোড়াদহ
- আলোমডাঙ্গা
- চুয়াডাঙ্গা
- দর্শনা হল্ট
- কোট চাঁদপুর
- মোবারকগঞ্জ
- যশোর
- নোয়াপাড়া
- খুলনা
রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস (৮২৭)
- কমলাপুর রেলস্টেশন
- ভাঙ্গা জংশন
- কাশিয়ানী জংশন
- নড়াইল
- যশোর
- বেনাপোল
- খুলনা
মন্তব্যঃ ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ভাড়া ও অনলাইন টিকিট
উপরে ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ভাড়া ও অনলাইন টিকিট সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন ঢাকা থেকে খুলনা
যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ট্রেনের ক্যাটাগরি এবং তাদের বিভিন্ন রুট। এছাড়াও জানতে
পেরেছেন কোন ট্রেনগুলো কখন এবং কোন কোন দিন চলাচল করে এবং কোন দিন বন্ধ থাকে।
ট্রেনগুলোর টিকিটের মূল্য কিভাবে নির্ধারিত হয় তা উপরে বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে।
আমাদের এই আর্টিকেলে ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে।
এতে করে আপনি কিছুটা উপকৃত হতে পারেন। আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই
আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করবেন। আমাদের সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট
বক্সে জানিয়ে দেবেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Neha IT নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url